Electric Bikes: ইলেকট্রিক স্কুটারের পর এবার ভারতে পাওয়ারফুল ই-বাইক লঞ্চ করবে ব্রিটিশ সংস্থা

ব্রিটিশ ইলেকট্রিক টু-হুইলার স্টার্টআপ ওয়ান মোটো (One Moto) হায়দ্রাবাদের সংস্থা এলিসিয়াম অটোমোটিভস (Ellysium Automotives)-এর হাত ধরে ভারতে প্রথম পদার্পণ করেছিল। এরপর ২০২১-এর নভেম্বরে তারা এ দেশে ব্র্যান্ডের প্রতিষ্ঠা করে। সম্প্রতি ওয়ান মোটোর সিইও শুভঙ্কর চৌধুরী জিগহুইলসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, এ দেশে তারা দু’টি ইলেকট্রিক মোটরসাইকেল নিয়ে আসতে চলেছেন।

এদিকে বর্তমানে বাজারে ওয়ান মোটোর তিনটি মডেলের ইলেকট্রিক স্কুটার রয়েছে। One Moto Electa ও Commuta হল রেট্রো ই-স্কুটার এবং Byka, যা একটি B2B ইলেকট্রিক স্কুটার। বৈদ্যুতিক স্কুটারে ব্যবসা বাড়ানোর পর এবার সংস্থার লক্ষ্য ইলেকট্রিক মোটরসাইকেলের দিকে। সাক্ষাৎকারের চৌধুরী জানিয়েছেন, বর্তমানে তাঁদের সংস্থা ভারতে দুটি মডেলের উপর কাজ করছে। কেন্দ্রীয় সরকারের বৈদ্যুতিক গাড়িতে ভর্তুকি প্রকল্প FAME-II এর শর্তাবলী মাথায় রেখে এগোচ্ছে তারা। যাতে আসন্ন ই-বাইক দুটি এই আর্থিক প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসা যায়। সংস্থাটি জানিয়েছে আসন্ন দুটি মডেলের মধ্যে একটি হল কমিউটার এবং অপরটি প্রিমিয়াম ইলেকট্রিক মোটরসাইকেল।

মোটরসাইকেল দুটির দাম, রেঞ্জ এবং অন্যান্য খুঁটিনাটি

চৌধুরীর বক্তব্য, ভারতের বাজারে হালে ইলেকট্রিক মোটরসাইকেল সেগমেন্টে দুটি সংস্থা কর্তৃত্ব করছে – রিভল্ট মোটরস (Revolt Motors) এবং কবিরা মোবিলিটি (Kabira Mobility)। তাই আসন্ন মডেলের দাম প্রতিপক্ষদের কথা মাথায় রেখেই স্থির করা হবে। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “যদি আপনি মূল্যের কথা জিজ্ঞেস করেন, তবে বলবো হ্যাঁ, আমরা রিভল্ট এবং কবিরাকে লক্ষ্য করেই আনবো।” আশা করা হচ্ছে তাদের কমিউটার বাইক কেন্দ্রীয় সরকারের ভর্তুকি ধরে ১.৩ লক্ষ টাকার কাছাকাছি পড়তে পারে।

অন্যদিকে প্রিমিয়াম মডেলটির প্রসঙ্গে ওয়ান মোটোর প্রধান বলেন, “রেঞ্জ হবে কমপক্ষে ২০০-২৫০ কিমি এবং শক্তিশালী হওয়ার কারণে এর সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ১২০-১২৫ কিমি হবে।” সংস্থার কথানুযায়ী প্রিমিয়াম মডেলটি হতে পারে আসন্ন‌ Ultraviolette F77-এর প্রতিপক্ষ, যেটি এ বছরের মাঝামাঝিতে লঞ্চ হবে। বাইকটির দাম কেন্দ্রের ভর্তুকি যোগ করে প্রায় ৩ লক্ষ টাকা হতে পারে।

যদিও ওয়ান মোটোর তরফে মোটরসাইকেল দুটির লঞ্চের সময়সীমা সম্পর্কে কোনো বার্তা মেলেনি। মহারাষ্ট্র, কেরল এবং হায়দ্রাবাদে তাদের বেশ কয়েকটি শোরুম থাকলেও, ভবিষ্যতে তা আরও বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বেঙ্গালুরু, মাইসোর এবং ম্যাঙ্গালোরে সংস্থার ডিলারশিপ রয়েছে। একই সাথে উত্তর ভারতে শোরুম খুলতে চলেছে তারা, যা দিল্লি-এনসিআর থেকে শুরু হবে।