নজরকাড়া ডিজাইন সহ চার-চারটি ইলেকট্রিক বাইক লঞ্চ করলো Joy e-bikes

Joy e-bikes এবং Vyom Innovation-এর প্যারেন্ট অর্গানাইজেশন Wardwizad Innovations & Mobility চারটি নতুন বৈদ্যুতিক বাইক লঞ্চের পাশাপাশি গুজরাতের ভাদোদরা শহরে নতুন কারখানার উদ্বোধন করলো। পাশাপাশি সংস্থাটি ম্যানুফ্যাকচারিং ফেসিলিটি গড়ে তুলতে ৪৫ কোটি টাকা লগ্নি করেছে। যার ফলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ৬,০০০ কর্মসংস্থানের সুযোগ সেখানে তৈরি হবে। ভাদোদরাতে ওয়ার্ডউইজাডের ইলেকট্রিক টু-হুইলার উৎপাদন কেন্দ্রটির বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা প্রাথমিক পর্যায়ে ১ লক্ষ ইউনিট হবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সভাপতিত্বে সংস্থাটি একটি ভার্চুয়াল ইভেন্টে চারটি ব্রান্ড নিউ হাই পারফরম্যান্স ইলেকট্রিক বাইকের নাম জানিয়েছেন। Joy E-Bikes-এর নতুন চারটি মডেল হল: Beast Hurricane,Thunderbolt, এবং Skyline। এদের মধ্যে Beast ও Hurricane হল ন্যাকেড মোটরসাইকেল ক্যাটাগরীর এবং ডিজাইনের নিরিখে এদের সাথে Kawasaki Z Series বাইকের সাদৃশ্য রয়েছে। Thunderbolt এবং Skyline হল ফুল-ফেয়ারিং ডিজাইনের স্পোর্টস মোটরসাইকেল এবং এদের ডিজাইন Kawasaki Ninja সিরিজ ও অনুরূপ ডিসপ্লেসমেন্টের মোটরসাইকেল থেকে অনুপ্রাণিত।

বৈদ্যুতিন বাইকগুলির স্পেসিফিকেশন, দাম এবং ডেলিভারি টাইমলাইন সর্ম্পকিত তথ্য সংস্থার তরফ থেকে এখনও প্রকাশ করা হয় নি। ভারত সরকারের ফেম-২ ভর্তুকির সুযোগ নিতে এগুলি লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি সহ আসতে পারে বলে অনুমান করা যার। তবে ওয়ার্ডউইজার্ড জানিয়েছে বিস্ট ও হারিকেন মোটরসাইকেলের টপ স্পিড হবে ১২০ কিমি/ঘন্টা এবং থাকবে ২৩০ এনএম উচ্চমাত্রার টর্ক আউটপুট। ৮-১০ ঘন্টার মধ্যেই এগুলির ব্যাটারি সম্পূর্ণ চার্জ করা যাবে। জয় ই-বাইকের ফিচারের মধ্যে থাকবে এলইডি হেডল্যাম্প, ফ্রন্ট ও রিয়র ডিস্ক ব্রেক, এলইডি ইন্সট্রুমেন্ট কনসোল প্রভৃতি।

Joy e-bike এবং Vyom Innovation ব্রান্ড মিলিয়ে ভারতে এখন ওয়ার্ডউইজার্ডের ৮০০ টি আউটলেট রয়েছে। Wardwizad গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর, Yatin Gupte বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আত্মনির্ভর ভারত এবং মেক ইন ইন্ডিয়ার ডাকে অনুপ্রাণিত হয়ে আমরা ওয়ার্ডউইজার্ড গ্রুপ এত কম সময়ের মধ্যে এই সম্প্রসারণটি করতে পেরে খুব খুশি হয়েছি। আমি অমিত শাহের সাথে এই বড়ো পদক্ষেপটি শেয়ার করতে পেরে গর্ব বোধ করছি যিনি তাঁর সমর্থন ও উৎসাহ দিয়ে আমাদের অনুগ্রহ করার জন্য যথেষ্ট সদয় হয়েছেন। আমরা চ্যাসিস থেকে শুরু করে ব্যাটারি পর্যন্ত ইলেকট্রিক বাইকের সমস্ত পার্ট এবং কম্পোনেন্ট উৎপাদন করতে চাই। বৈদ্যুতিক বাইকের ক্রমর্ধমান চাহিদা দেখে, আমরা ২০২৫ সালের মধ্যে সমগ্র ইলেকট্রিক টু-হুইলার সেগমেন্টের ২৫ শতাংশ বাজার দখল করার প্রত্যাশা রাখছি।”

হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন