Apple Car: চালকদের জমানা শেষ, স্টিয়ারিং উঠে যাচ্ছে, মস্তিকের মতো বুদ্ধিমত্তা অ্যাপলের গাড়িতে

গাড়ি কেনার খুব শখ। কিন্তু গাড়ি ভাল ভাবে চালাতে জানি না। শিখে থাকলেও হাত ততটা পোক্ত হয়নি। রাস্তায় গাড়ি বের করতেও বুক কাপে। স্টিয়ারিং-এ হাত রাখলেই টেনশন শুরু হয়ে যায়। একবিংশ শতাব্দীতে এমন অকপট স্বীকারক্তি প্রায়ই শোনা যায়। আচ্ছা, গন্তব্য কোথায়, গাড়িকে সেটা জানানোর পর গাড়ি যদি আপনাআপনি চলতে শুরু করে কিংবা গাড়িতে যদি ব্রেক, ক্ল্যাচ, অ্যাক্সেলারেটর বা স্টিয়ারিং কিছুই না থাকে, তাহলে কেমন হবে? ভেবে শিহরিত হলেও, ঠিক এমনই ট্রুলি অটোনোমাস (truly autonomus) বৈদ্যুতিক গাড়িকে বাস্তবের রূপ দেওয়ার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে টেক জায়ান্ট অ্যাপল (Apple)।

এ বিষয়ে ওয়াবিবহল একটি সূত্র উদ্ধৃত করে ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ‘অ্যাপল কার’ (Apple Car), টেক জায়ান্ট অ্যাপলের এই বিদ্যুৎ চালিত গাড়ির আত্মপ্রকাশ ঘটবে ২০২৫-এর মধ্যেই। সম্পূর্ণ ভাবে স্বচালিত হবে সংস্থার সেই বৈদ্যুতিক গাড়িটি। মানবচালনার কোনও ভূমিকাই থাকবে না। গাড়ি রাস্তায় নিজে বুঝে বাধা কাটিয়ে এগোবে। ঠিক একজন দক্ষ চালকের মতো। এ কাজে গাড়িকে সহায়তা করবে সেল্ফ-ড্রাইভিং সিস্টেম, চিপসেট, এবং নানা অত্যাধুনিক সেন্সর।

Apple car truly autonomous may launch

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে ‘প্রজেক্ট টাইটান’ (Project Titan)-এর অধীনে স্বয়ংক্রিয় গাড়ি তৈরির কাজ শুরু করেছিল অ্যাপল। অত্যন্ত গোপনীয়তা অবলম্বন করে সেই প্রকল্পের সূচনা হয়েছিল। যদিও তার অগ্রগতির খবর হালে একটু-আধটু সামনে এসেছে।

অ্যানালিস্ট ড্যান ইভস (Dan Eves)-এর মতে, ২০২৫-এর মধ্যে অ্যাপলের নিজস্ব গাড়ি বাজারে আসার সম্ভাবনা ৬০%-৬৫%। যদিও এক আর্ন্তজাতিক সংবাদমাধ্যমের দাবি, প্রজেক্ট টাইটানের কর্মীরা নিজেরাই ধন্দে আছেন, ওই সময়সীমার মধ্যে গাড়ি প্রস্তুত করা যাবে কিনা। উল্লেখ্য, প্রতিবেদনটি লেখা পর্যন্ত এ বিষয়ে অ্যাপলের তরফ থেকে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।