বিমানবন্দরে চেকিংয়ের মতো এবার থেকে চেক হবে রেলের টিকিট, আসছে QR code ব্যবস্থা

বিমানবন্দরে চেকিং সংক্রান্ত বিষয় হোক কিংবা বিভিন্ন ই-কমার্স সাইটের প্রোডাক্ট ডেলিভারি – করোনা সংক্রমণ এড়াতে বিভিন্ন পরিষেবা যতটা সম্ভব “কন্ট্যাক্ট-লেস” অর্থাৎ সংস্পর্শ-হীন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। স্বস্তির বিষয়, এবার এই ধরণের পরিষেবা আসতে চলেছে ভারতীয় রেলে। গত বৃহস্পতিবার জাতীয় পরিবহণ ব্যবস্থার এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এবার ভারতীয় রেলওয়ে QR code যুক্ত টিকিট আনতে অগ্রসর হবে, যা স্টেশনে এবং ট্রেনে হ্যান্ডহেল্ড ডিভাইসের মাধ্যমে স্ক্যান করা হবে। এছাড়া এবার থেকে কলকাতার মত শহরতলিতে মেট্রো কার্ডে অনলাইন রিচার্জ করা যাবে।

এই বিষয়ে রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান ভি কে যাদব বলেছেন, বর্তমানে এমনিতেই ৮৫ শতাংশ ট্রেনের টিকিট অনলাইনে বুকিং করা হচ্ছে, তবে যারা কাউন্টার থেকে টিকিট কিনছেন তাদের জন্য এবার থেকে একটি QR code উপলব্ধ হবে। নতুন কিউআর কোড সিস্টেমে, যদি কেউ অনলাইনে টিকিট কেনে তবে কিউআর কোডটি টিকিটে দেওয়া থাকবে। এছাড়া উইন্ডো টিকিটের (ফিজিক্যাল টিকিট) যাত্রীর মোবাইল ফোনে একটি টেক্সট মেসেজ পাঠানো হবে, সেখানে একটি লিঙ্ক থাকবে এবং ওই লিঙ্কটিতে ক্লিক করা হলে কিউআর কোড প্রদর্শিত হবে।

স্টেশনগুলিতে বা ট্রেনে TTE অর্থাৎ টিকিট চেকার, মোবাইল ফোনের কিউআর কোড স্ক্যানিং অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে, বা অন্য ডিভাইসের সাহায্যে কোডটি স্ক্যান করতে এবং তৎক্ষণাৎ যাত্রীদের বিশদ জানতে সক্ষম হবেন। এইভাবে টিকিট সিস্টেম সম্পূর্ণ “কন্ট্যাক্ট-লেস” হবে।

এই প্রসঙ্গে বলে রাখি, প্রয়াগরাজ রেল স্টেশনে বিমানবন্দরের মতো চেক-ইন ব্যবস্থা শুরু হয়েছে। কোনো যাত্রী স্টেশন প্রাঙ্গণে প্রবেশ করার সাথে সাথে তার টিকিটের কিউআর কোডটি একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে স্ক্যান করা হয় এবং সেটি সফ্টওয়্যারের ডাটাবেসে আপডেট হয়।

যাদব বলেছেন, রেলপথে এখনই পুরোপুরিভাবে পেপার-লেস টিকিট ব্যবস্থা আসছেনা। তবে অনলাইনে রিসার্ভ, আন-রিসার্ভ এবং প্ল্যাটফর্মের টিকিট বুকিংয়ের সুবিধা বাড়ানো হবে।