বৈদ্যুতিক গাড়ির যুগের সূচনা! ডিসেম্বরে দেশে ব্যাটারি বদলের নীতি চালু হতে পারে

ভারতে বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবহার গণ হারে বাড়াতে প্রধান অন্তরায় যে ইভি চার্জিং স্টেশন, সেকথা বুঝতে বাকি নেই কেন্দ্রের। তাই দেশে বৈদ্যুতিক চার্জিংয়ের সংখ্যা বাড়াতে উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। আবার কেন্দ্রের সাথে হাতে হাত লাগিয়েছে একাধিক বেসরকারি সংস্থা। আগামী দু’এক বছরের মধ্যে চার্জিং স্টেশনের সংখ্যা পর্যাপ্ত পরিমাণে বৃদ্ধি না পেলেও তা মানুষের প্রয়োজন মেটাতে পারবে বলে আশাবাদী কেন্দ্রীয় সরকার। তবে বৈদ্যুতিক চার্জিংয়ের সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি মানুষকে দ্রুত পরিষেবা দেওয়ার বিষয়টিও খেয়াল রাখতে হবে। এক্ষেত্রে ব্যাটারি বদল ব্যবস্থা বা সোয়াপিং স্টেশন বেশ কার্যকরী।

ব্যাটারি সোয়াপিং স্টেশন থেকে চার্জ ফুরিয়ে যাওয়া ব্যাটারিটি বদলে ফুল চার্জের ব্যাটারি পাওয়া যাবে। এর ফলে গ্রাহকদের ব্যাটারি চার্জ দেওয়ার সময় বাঁচবে। এ বছরের অর্থাৎ ২০২২-২৩ বাজেটে ‘ব্যাটারি সোয়াপিং পলিসি’র ঘোষণা করেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। ব্যাটারি বদলের সেই নীতি ২০২২-এর ডিসেম্বর থেকে সমগ্র দেশে চালু করতে পারে নীতি আয়োগ (NITI Aayog)।। এই সম্ভাবনার কথা সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে জানিয়েছেন সরকারি উপদেষ্টা সংস্থাটির কর্তা সুধেন্দু জ্যোতি সিনহা।

সিনহা বলেন, বর্তমানে নীতি আয়োগ ভারতে জনসংখ্যা ১০ লক্ষের বেশি জনসংখ্যাযুক্ত শহরের রেল স্টেশন চত্বরে ইলেকট্রিক চার্জিং স্টেশন বসানোর কাজ করছে। এই প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী সীতারামন বলেছিলেন, “দেশের শহরাঞ্চলে বৈদ্যুতিক চার্জিং স্টেশন স্থাপনের জন্য এলাকার সীমাবদ্ধতার জায়গা বিবেচনা করে একটি ব্যাটারি সোয়াপিং নীতি আনা হবে এবং তার আন্তকার্যক্ষমতার মান প্রণয়ন করা হবে।”

সীতারামন আরও বলেছিলেন, দেশের ইলেকট্রিক ভেহিকেল (ইভি) ইকোসিস্টেম তৈরীতে বৈদ্যুতিক চার্জিং স্টেশনের পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য বেসরকারি সংস্থাগুলিকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, ভারতে ব্যাটারি সোয়াপিং পলিসি চালু হলে গ্রাহকরা বৈদ্যুতিক যানবাহনের প্রতি যে অধিক আগ্রহী হবেন তা বলাই বাহুল্য।