এবার চীন থেকে ড্রোন আমদানি নিষিদ্ধ করল ভারত সরকার, লক্ষ্য স্থানীয় উৎপাদন বাড়ানো

দেশের প্রতিটি মানুষকে স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে নির্মিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ উদ্যোগকে আরও কার্যকর এবং ব্যাপকভাবে প্রচারের জন্য এবার ড্রোন আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল ভারত সরকার। গত ৯ ফেব্রুয়ারি বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের (Ministry of Commerce and Industry) এক নতুন নির্দেশিকায় এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এক্ষেত্রে মূলত এক চীনা জায়ান্টকে ড্রোন সরবরাহ থেকে বিরত করা হয়েছে। সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী, প্রধানত ভারতে ড্রোন তৈরির ওপর বিশেষ জোর দেওয়ার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হবে বলেও জানা গেছে।

ড্রোন ইম্পোর্ট ব্যান: সরকারি মন্তব্য

কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানানো হয়েছে যে রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (R&D), প্রতিরক্ষা এবং নিরাপত্তার জন্য ড্রোন আমদানিতে ছাড় দেওয়া হতে পারে। তবে এসব ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্র দপ্তর থেকে অনুমতি নিয়েই তবে ড্রোন আমদানি করা যাবে। এছাড়া যদি কেন্দ্রীয় সরকারের কোনো প্রয়োজনে, রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, কিংবা রাজ্য তথা কেন্দ্রের অন্য বিশেষ কোনো আবশ্যিক কারণে ড্রোন আমদানি করতে হয়, তাহলে প্রয়োজনীয় অনুমতি সাপেক্ষে সেক্ষেত্রেও ছাড় দেওয়া হবে। তবে অন্যান্য সব ক্ষেত্রেই ড্রোন আমদানির ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

এদিকে বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তিতে একথাও জানানো হয়েছে যে, ড্রোন তৈরির যন্ত্রাংশ আমদানির জন্য কোনো ছাড়পত্র লাগবে না। উল্লেখ্য, গত সপ্তাহের বাজেটে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন ‘ড্রোন শক্তি স্কিম’ (Drone Shakti Scheme) ঘোষণা করার পরই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ড্রোন আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল। ফলে স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে যে, এই পদক্ষেপের মূল লক্ষ্য হল ড্রোনের অভ্যন্তরীণ উৎপাদনকে ব্যাপকভাবে বাড়িয়ে তোলা।

প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে দেশে ড্রোন এবং ড্রোনের যন্ত্রাংশ প্রস্তুত করার জন্য ১২০ কোটি টাকার প্রোডাকশন লিঙ্কড ইনসেনটিভ (PLI) স্কিম অনুমোদন করেছিল ভারত। পরিবর্তে, এখন সরকার এই খাত থেকে ৫,০০০ কোটি টাকার মুনাফা করতে পারবে বলে আশা করছে। শুধু তাই নয়, আগামী ২০২৪ সালের মধ্যে এই সেক্টরে ১০,০০০ কর্মসংস্থান করা সম্ভব হবে বলেও দাবি করছে কেন্দ্রীয় সরকার।