Redmi Note 13 5G সিরিজে মজেছে ক্রেতারা, একমাসে Xiaomi এর আয় ছাড়ালো 2 হাজার কোটি

গত ৪ঠা জানুয়ারি ভারতের বাজারে পা রাখে Xiaomi Redmi Note 13 সিরিজ। নবাগত এই লাইনআপের অধীনে মোট তিনটি মডেল এসেছে, যথা – Redmi Note 13…

গত ৪ঠা জানুয়ারি ভারতের বাজারে পা রাখে Xiaomi Redmi Note 13 সিরিজ। নবাগত এই লাইনআপের অধীনে মোট তিনটি মডেল এসেছে, যথা – Redmi Note 13 5G, Redmi Note 13 Pro 5G এবং Redmi Note 13 Pro+ 5G। বিশ্ববাজারে আত্মপ্রকাশের পর এই লাইনআপটি এতটাই ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল যে চার মাসের ব্যবধানে এর ৩২ লক্ষ ইউনিট বিক্রি হয়ে যায়। এদেশেও কিন্তু সিরিজের প্রত্যেকটি মডেল দারুন পারফরম্যান্স করেছে। ভারতে মুক্তি পাওয়ার কিছু দিন পরই সংস্থার তরফ থেকে ঘোষণা করা হয় যে, Redmi Note 13 5G সিরিজটি ১,০০০ কোটি টাকার রেভেনিউ তুলে দিয়েছে। আর এখন জানা গেছে, Xiaomi তাদের এই লেটেস্ট সিরিজের দৌলতে মাত্র ১ মাসের মধ্যে ২,০০০ কোটি টাকা আয় করেছে।

তবে লক্ষ্যণীয় বিষয়, গত বছরের মতো এবারও Xiaomi তাদের এই নয়া সিরিজের কতগুলি ইউনিট বিক্রি হয়েছে সেই সংখ্যা কিন্তু প্রকাশ্যে আনেনি। কিছু টেক বিশ্লেষকদের মতে, অন্যান্য সংস্থার তুলনায় কম অর্ডার পাওয়ায় হয়তো ইউনিট সংখ্যা গোপন রাখতে চেয়েছে সংস্থাটি। এক্ষেত্রে আপনাদের মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে যে, যদি ইউনিট সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম হয় তবে রাজস্ব আয় বেশি হল কীভাবে? এর উত্তর হল, নবাগত রেডমি নোট মডেলগুলির দাম তুলনামূলকভাবে বেশি।

জানিয়ে রাখি, নোট-সিরিজের অধীনে পূর্বে লঞ্চ হওয়া মডেলের দাম ৯,৯৯৯ টাকা থেকে শুরু হয়েছিল। যেখানে নতুন লঞ্চ হওয়া রেডমি নোট ১৩ ৫জি (Redmi Note 13 5G) ফোনের দাম শুরু হচ্ছে ১৭,৯৯৯ টাকা থেকে। অর্থাৎ পূর্বসূরির তুলনায় উত্তরসূরির প্রারম্ভিক মূল্যে অনেকটাই ব্যবধান আছে। অন্যদিকে সিরিজের টপ-এন্ড মডেল রেডমি নোট ১৩ প্রো+ -এর দাম সর্বোচ্চ ৩৫,৯৯৯ টাকা ছুঁয়েছে।

শাওমি মূলত এবছর তাদের সাব-ব্র্যান্ডের অধীনে আসা এই লেটেস্ট ডিভাইসগুলিতে একাধিক প্রিমিয়াম বৈশিষ্ট্য অন্তর্ভুক্ত করেছে। যেকারণে ফোনগুলির দাম একলাফে এতটা বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে ক্রেতারা, অন্যান্য ব্র্যান্ডের প্রিমিয়াম হ্যান্ডসেটগুলির তুলনায় সস্তায় উন্নত মানের ফিচার ব্যবহারের সুবিধা পাওয়ায় ফোনগুলি কিনতে হুড়োহুড়ি লাগিয়েছে। ফলস্বরূপ মাত্র ১ মাসের মধ্যে ২,০০০ কোটি টাকা আয় করতে পেরেছে মালিক সংস্থা Xiaomi!