৫২ শতাংশ উত্তর ভুল! ChatGPT-র কাজ নিয়ে উঠছে প্রশ্ন, কমছে ব্যবহারও, কী হবে ভবিষ্যত?

সম্প্রতি ChatGPT চ্যাটবটের যথার্থতা নিয়ে আবার প্রশ্ন উঠেছে, কারণ এটি ভুলভাল উত্তর দিয়েছে। রিপোর্ট বলছে এর ইউজার সংখ্যাও দ্রুত কমছে।

২০২২ সালের নভেম্বরে চালু হওয়ার পর থেকে ChatGPT নামক AI টুলটি বিশ্বব্যাপী বহু মানুষের জীবনের সাথে গভীরভাবে জড়িয়ে গেছে। রচনা থেকে শুরু করে মেইল ​​লেখা, অঙ্ক করা এবং রিয়েলটাইমে বিভিন্ন প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেওয়ার কারণে এটি নেট ও টেক দুনিয়ায় চর্চায় রয়েছে। এমনকি এটি অদূর ভবিষ্যতে মানুষকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে রিপ্লেস করে চাকরিহারা করবে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। কিন্তু সম্প্রতি ChatGPT চ্যাটবটগুলির যথার্থতা নিয়ে আবার প্রশ্ন উঠেছে। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ChatGPT, সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং সংক্রান্ত প্রশ্নের ৫২ শতাংশ ভুল উত্তর দিয়েছে।

আদৌ কি সত্যিই এতো জনপ্রিয়তার যোগ্য ChatGPT?

সাম্প্রতিক প্রতিবেদন থেকে জানা যায় যে, আমেরিকার পারডু ইউনিভার্সিটির গবেষণায় চ্যাটবটের যথার্থতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এক্ষেত্রে ওই প্রতিষ্ঠানের গবেষকরা স্ট্যাক ওভারফ্লো (SO) বিষয়ে চ্যাটজিপিটিকে ৫১৭টি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেন। আর এই সময়ই এআই টুলটি ৫২ শতাংশ উত্তর বা বিশ্লেষণ ভুল দেয়। শুধু তাই নয়, চ্যাটজিপিটি প্রদত্ত উত্তরের ৭৭% ক্রিয়াপদ (Verb) ভুল ছিল বলে জানা গিয়েছে। তবে প্রশ্নের ভেতরে নিহিত গুঢ় ধারণা বুঝতে না পারার কারণেই এটি ভুল উত্তর দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

স্বাভাবিকভাবেই গবেষকরা এই এআই টুলের উত্তর সংক্রান্ত সীমিত যুক্তি-ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। তাদের মতে, কুইক ইঞ্জিনিয়ারিং এবং হিউম্যান-ইন-দ্য-লুপ ফাইন-টিউনিং জাতীয় সমস্যার সমাধান বোঝার জন্য চ্যাটজিপিটি সহায়ক হতে পারে কিন্তু যখন এলএলএম (LLM)-এ লজিক ইনজেক্ট করার কথা আসে তখন তার মধ্যে কিছু ঘাটতি দেখা যায়। তাই এটিতে সংশোধন করা খুবই জরুরি বলে তারা মনে করেন।

ক্রমশ কমছে ChatGPT-র ব্যবহার

এর আগে একটি রিপোর্টে ধরা পড়েছিল যে, সাম্প্রতিক সময়ে চ্যাটজিপিটি ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত কমছে। আর এই ধারা এখনও অব্যাহত রয়েছে। গত জুনে যেখানে ১.৭ বিলিয়ন মানুষ এই টুল ব্যবহার করছিলেন, সেখানে জুলাই মাসে এই সংখ্যা কমে হয়েছে ১.৫ বিলিয়ন। এমনকি বলা হয়েছে যে, ওপেনএআই (OpenAI), এর মাধ্যমে লাভজনক ফল পাচ্ছেনা। চ্যাটজিপিটি পরিচালনা করতে কোম্পানির প্রতিদিন প্রায় ৭,০০,০০০ ডলার করে খরচ হচ্ছে বলে রিপোর্ট। অথচ, কিছুদিন আগে এর মোবাইল অ্যাপও চালু করেছে। সবমিলিয়ে এভাবে চলতে থাকলে চ্যাটজিপিটি অচিরেই দেউলিয়া হয়ে যেতে পারে – এমনটা বললে ভুল হবে না!