সবার জন্য বাধ্যতামূলক করা যাবে না আরোগ্য সেতু, আর্জি পত্র পেশ করলো ৩৭টি সংগঠনের কর্মীরা
করোনা মোকাবিলায় ভারত সরকার ২ এপ্রিল করোনা ভাইরাস ট্র্যাকিং অ্যাপ Aarogya Setu লঞ্চ করেছিল। ইতিমধ্যেই এই অ্যাপটিকে ৮ কোটির বেশি মানুষ ডাউনলোড করেছে। কেন্দ্র সরকার মনে করে করোনা কে ঠেকাতে এই অ্যাপের কোনো বিকল্প নেই। আর সেকারণেই এই অ্যাপটিকে প্রথমে প্রসার ভারতীর সমস্ত কর্মচারীদের জন্য বাধ্যতামূলক করে দেওয়া হয়। পরে একে সেনাবাহিনীর সমস্ত কর্মীদের জন্যও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তবে কেন্দ্রীয় সরকার সম্প্রতি নির্দেশ দিয়েছে, সমস্ত সরকারি কর্মীদের জন্য আরোগ্য সেতু ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হবে। যা নিয়ে এবার বিতর্ক শুরু হল।
আরোগ্য সেতু অ্যাপ্লিকেশনকে বাধ্যতামূলক করা যাবে না, এই দাবি নিয়ে ৩৭টি সংগঠনের কর্মীরা সরকারের কাছে একটি আর্জি পত্র পেশ করতে চলেছে। এছাড়াও এই আর্জি পত্রে লকডাউনের সময় কর্মীদের আর্থিক সাহায্য, সুরক্ষা দ্রব্য এবং হেলথকেয়ার কভারেজ দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। সংগঠনের কর্মীরা জানিয়েছে, কেউ না চাইলে এই অ্যাপ নাই ব্যবহার করতেই পারে।
লঞ্চ হওয়ার পর থেকেই আরোগ্য সেতু অ্যাপ্লিকেশনটি বিভিন্নভাবে সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছে। ডেটা প্রোটেকশন আইন লংঘন করা নিয়ে এই অ্যাপ্লিকেশনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সমালোচনা হয়েছে। কারণ ব্যবহারকারির অনেক ডেটাই এই অ্যাপ চাইছে যার কোনো প্রয়োজন নেই। আরোগ্য সেতু অ্যাপ্লিকেশনের সিকিউরিটি ইস্যু নিয়ে এখনো বিশবাঁও জলে কেন্দ্রীয় সরকার। এই পরিস্থিতিতে সবার জন্য অ্যাপ ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা কতটা যুক্তি সঙ্গত তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
আপনাকে জানিয়ে রাখি আরোগ্য সেতু অ্যাপটি ব্লুটুথ এবং জিপিএস লোকেশনের মাধ্যমে করোনাভাইরাস সংক্রামিত লোকদের ট্র্যাক করে। এই অ্যাপে ব্যবহারকারীদের প্রথমে তাদের মোবাইল নম্বর এবং ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হয়। এর পরে ব্যবহারকারীকে কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়। ব্যবহারকারীরা যদি এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেয় তবে সে নিরাপদ কিনা তা এই অ্যাপ্লিকেশনটি জানিয়ে দেয়। এছাড়াও তিনি করোনা আক্রান্ত কোনো ব্যক্তির সংস্পর্শে আসছেন কিনা তাও জানায় এই আরোগ্য সেতু। অ্যাপটি কাজ করার জন্য ব্যবহারকারীকে সর্বদা তাদের স্মার্টফোনে জিপিএস এবং ব্লুটুথ অন রাখতে হবে।