প্রিমিয়াম ইয়ারফোন খুঁজছেন? Sennheiser CX Plus এবং CX বাজারে এল

গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে বিশ্ববাজারে আত্মপ্রকাশ করার পর এখন ভারতীয় বাজারে জার্মান অডিও কোম্পানি Sennheiser নিয়ে আসল তাদের নতুন দুটি ট্রু ওয়্যারলেস স্টেরিও (TWS) ইয়ারফোন,…

গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে বিশ্ববাজারে আত্মপ্রকাশ করার পর এখন ভারতীয় বাজারে জার্মান অডিও কোম্পানি Sennheiser নিয়ে আসল তাদের নতুন দুটি ট্রু ওয়্যারলেস স্টেরিও (TWS) ইয়ারফোন, যেগুলি হল CX Plus এবং CX। উভয় ইয়ারফোনই হাই কোয়ালিটির লিসনিং এক্সপেরিয়েন্স অফার করার পাশাপাশি স্লিম ডিজাইনের সাথে এসেছে। ফলে ব্যবহারকারী সারাদিন স্বাচ্ছন্দের সাথে এটি কানে পরে থাকতে পারবেন। চলুন দেখে নেওয়া যাক Sennheiser CX Plus এবং CX ট্রু ওয়্যারলেস স্টেরিও ইয়ারফোন দুটির দাম, ফিচার এবং স্পেসিফিকেশন।

Sennheiser CX Plus এবং CX ট্রু ওয়্যারলেস স্টেরিও ইয়ারফোনের দাম ও লভ্যতা

ভারতে নবাগত Sennheiser CX Plus এবং Sennheiser CX ওয়্যারলেস ইয়ারফোন দুটির দাম ধার্য করা হয়েছে যথাক্রমে ১৪,৯৯০ টাকা এবং ১০,৯৯০ টাকা। উভয় ইয়ারফোনই ব্ল্যাক এবং হোয়াইট এই দুটি কালারে উপলব্ধ। সংস্থার নিজস্ব ওয়েবসাইট ছাড়াও ই-কমার্স সাইট অ্যামাজন এবং জনপ্রিয় ইলেকট্রনিক আউটলেটগুলি থেকে কিনতে পাওয়া যাচ্ছে ইয়ারফোন দুটি।

Sennheiser CX Plus এবং CX ট্রু ওয়্যারলেস স্টেরিও ইয়ারফোন দুটির স্পেসিফিকেশন

ভারতে আগত নতুন Sennheiser CX Plus ইয়ারফোনটি অ্যাক্টিভ নয়েজ ক্যান্সলেশন ফিচারের সাথে এসেছে। ফলে কোনো রকম অসুবিধা ছাড়াই স্বচ্ছ লিসনিং এক্সপেরিয়েন্স লাভ করতে পারবেন ইউজাররা। এমনকি কোলাহলপূর্ণ পরিবেশ ইয়ারফোনটি ব্যবহার করলেও পরিষ্কার আওয়াজ শোনা যাবে। শুধু তাই নয়, ব্যবহারকারী চাইলে এক্সটার্নাল মোডে বাইরের আওয়াজও শুনতে পাবেন এই ইয়ারফোনে। তবে সেক্ষেত্রে তাকে কান থেকে আর বাডটি খুলতে হবে না। এই মোডটি মূলত অ্যাম্বিয়েন্ট সাউন্ড শোনার জন্য দেওয়া হয়েছে। তাই এই মোড চালু থাকলে ব্যবহারকারী তার আশেপাশে কি ঘটছে তা সহজেই বুঝতে পারবেন। তদুপরি কানের সাথে ভালোভাবে ফিট হয়ে থাকার জন্য এতে দেওয়া হয়েছে চারটি ভিন্ন সাইজের ইয়ার এডাপ্টার।

নয়া Sennheiser CX Plus ইয়ারফোনটির ব্যাটারি প্রসঙ্গে বলতে গেলে এটি একবার চার্জে ২৪ ঘন্টা প্লেব্যাক টাইম অফার করবে। অন্যদিকে CX ট্রু ওয়্যারলেস স্টেরিও ইয়ারফোন একবার চার্জে ২৭ ঘন্টা প্লেব্যাক টাইম অফার করতে সক্ষম। আবার জলের ছিটে থেকে সুরক্ষা দিতে উভয় ইয়ারফোন IPX4 রেটিং সহ এসেছে।

এছাড়া দুটি ইয়ারবাডেই পাওয়া যাবে টাচ কন্ট্রোলের সুবিধা। আবার ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট ব্যবহার করে ভয়েস কমান্ডের মাধ্যমে ইয়ারফোনটিকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। অন্যদিকে, উভয় ইয়ারফোনে ব্যবহৃত হয়েছে ডুয়েল মাইক। ফলে একটি ইয়ারবাড ব্যবহার করলেও স্বচ্ছ আওয়াজ শোনা যাবে। তাছাড়া ইয়ারফোন দুটির কানেক্টিভিটি অপশনে রয়েছে ব্লুটুথ ৫.২ ভার্সন, যা এসবিসি, এএসি, এপিটি এক্স এবং এপিটি এক্স অ্যাডাপটিভ কোডেক সাপোর্ট করবে।

তদুপরি, সেনহাইজার স্মার্ট কন্ট্রোল অ্যাপ এবং বিল্ড-ইন ইকিউলাইজারের মাধ্যমে ইয়ারফোন দুটিতে লিসেনিং এক্সপেরিয়েন্স কাস্টমাইজ করা যাবে। ইউজার চাইলে এর বেস বুষ্ট প্রিসেট পরিবর্তন করে মিউজিকের ইনটেনসিটি বাড়াতে পারবেন। আবার ফোন করার এসময় অডিও এনহ্যান্স করতে পারবেন।