iPhone হয়ে যাবে Android স্মার্টফোনের মতো? কি ভাবনা Apple এর

আইফোন (iPhone) কি অ্যান্ড্রয়েড ফোনে পরিণত হবে? এমনটাই অভিযোগ করছে অ্যাপল (Apple)। আসলে আমেরিকার ‘ডিপার্টমেন্ট অফ জাস্টিস’ (DoJ) বিভাগ টেক জায়ান্টটির বিরুদ্ধে সম্প্রতি একটি মামলা দায়ের করেছে। যেখানে Apple অবৈধভাবে আঞ্চলিক স্মার্টফোনের বাজারে একাধিপত্য বিস্তার করছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে DoJ -এর তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, সংস্থাটি তাদের সফ্টওয়্যার ও হার্ডওয়্যারের অ্যাক্সেস সীমিত করা এবং পাশাপাশি নিজস্ব একটা ইকো-সিস্টেম গড়ে তোলার মাধ্যমে প্রতিযোগিতার পরিবেশ নষ্ট করছে। আর এই অভিযোগ সামনে আসার পরেই সন্দেহ দানা বেঁধেছে টিম কুকের সংস্থাটির মনে।

DoJ এর তরফে, আইমেসেজ (iMessage) অ্যাপ্লিকেশনের কার্যকারিতা এবং আইফোন ও ওয়াচের মতো অ্যাপল পণ্যগুলির মধ্যে ইন্টার-কানেকশন বা আন্তঃসংযোগ অফার করা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। সাথে অভিযোগ আনা হয়েছে যে, টেক জায়ান্টটির এই আচরণের ফলে প্রতিযোগীতামূলক মুক্ত স্মার্টফোনের বাজার গড়ে তোলা সম্ভব হচ্ছে না।

এই অভিযোগের প্রত্যুত্তরে অ্যাপলের কর্মকর্তারা বলেছেন, মার্কিন সরকার আইফোনকে অ্যান্ড্রয়েডে পরিণত করতে চায়। আর তাই এরকম “ভুল তথ্য এবং আইন” দেখিয়ে মামলাটি রুজু করা হয়েছে। সংস্থাটি আরও মন্তব্য করেছে যে, “এই মামলার জন্য, আমরা এতদিন যে নীতিগুলি অনুসরণ করে দেশের প্রতিযোগিতামূলক বাজারে অ্যাপল পণ্য নিয়ে এসেছি এবং সেগুলি বাজারজাত হওয়ার পর যে স্বতন্ত্রতা অর্জন করতে পেরেছে তা ক্ষুন্ন হচ্ছে। যদি DoJ তাদের উদ্দেশ্য পূরণে সফল হয়, তবে মানুষ অ্যাপলের থেকে যেধরনের প্রযুক্তি, হার্ডওয়্যার, সফ্টওয়্যার এবং পরিষেবার আশা করেন তা তৈরি করার ক্ষেত্রে আমারা বাধাপ্রাপ্ত হবো।”

যদিও অ্যাপলের সকল দাবিদাওয়া -কে নস্যাৎ করে দিয়ে ‘ডিপার্টমেন্ট অফ জাস্টিস’ সাফ জানিয়ে দিয়েছে যে অ্যাপল – উদ্ভাবনী অ্যাপগুলি ব্লক করা, নন-অ্যাপল স্মার্টওয়াচের কার্যকারিতা হ্রাস করা, থার্ড পার্টি ডিজিটাল ওয়ালেট অ্যাপগুলিকে সীমাবদ্ধ করা এবং ক্রস-প্ল্যাটফর্ম মেসেজিংকে বাধা দেওয়া মতো কাজ করছে। আর এইসকল কারণে “অ্যাপল, তাদের ডিভাইস ব্যবহারকারী এবং অন্যান্য ডেভেলপার সংস্থা উভয়ের জন্যই কঠিন পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। কেননা ব্যবহারকারীরা সংস্থা ইকো-সিস্টেমের বাইরে যেতে পারছেন না। ফলে তাদের বাধ্য হয়ে ব্যয়বহুল ডিভাইস কিনতে হচ্ছে। যেখানে কিনা অন্যান্য ব্র্যান্ড সাশ্রয়ী পণ্য অফার করেও মার্কেটে জায়গা পাচ্ছে না” বলে দাবি করেছেন মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল।

অর্থাৎ বুঝতে অসুবিধা হয় না যে, এই মামলার অন্যতম লক্ষ্য অ্যাপলের অপারেশনাল প্রোটোকলের নিয়মবিধিতে পরিবর্তন আনা। যাতে ক্রস-প্ল্যাটফর্ম প্রযুক্তির প্রচারে বাধা দিয়ে অ্যাপল শুধুমাত্র তাদের নিজস্ব অ্যাপ স্টোরের প্রচার অথবা প্রাইভেট এপিআইএস (APIs) ব্যবহার করতে না পারে।