এক সেকেন্ডের জন্যেও ফোন হাতছাড়া করেন না? সাবধান! শরীর, মস্তিষ্ক সবই কিন্তু হবে অকেজো

স্মার্টফোন এখন প্রায় প্রতিটি মানুষের জীবনেই শ্বাস প্রশ্বাসের মত একটি জরুরি উপাদান হয়ে দাঁড়িয়েছে! শুধু ফোন কল বা দূরে থাকা ব্যক্তিদের সাথে যোগাযোগেই এর ব্যবহার সীমাবদ্ধ নেই, বরঞ্চ এখন স্মার্টফোন এবং তার ইন্টারনেট কানেক্টিভিটিকে কেন্দ্র করে সারাক্ষণ ব্যস্ত রয়েছেন অধিকাংশই; পড়াশোনা, কাজ, অবসর-বিনোদন – সমস্ত কিছুই এই খুদে মুঠোফোনের মাধ্যমে চলছে বললে চলে। সেক্ষেত্রে আপনিও যদি সবসময় ফোন নিয়ে পড়ে থাকেন (মানে মোবাইল বেশি ব্যবহার করেন) বা আপনার যদি এটি সাথে নিয়ে ঘুমানোর অভ্যেস হয়ে গিয়ে থাকে, তাহলে এই খবরটি অবশ্যই পড়বেন। কারণ মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার আপনার স্বাস্থ্যের অনেক ক্ষতি করতে পারে। হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন। মোবাইল ফোন থেকে নির্গত রে বা রশ্মি, এর ইউজারদের স্বাস্থ্যের জন্য ব্যাপক ক্ষতিকারক। এর থেকে আপনি অনেক ধরনের রোগের শিকার হতে পারেন। ঠিক কী কী ক্ষতি হতে পারে স্মার্টফোনের অতিরিক্ত ব্যবহারে? আসুন এক নজরে দেখে নিই।

বেশি ফোন ব্যবহার করলেই পড়বেন এই সমস্ত ক্ষতির মুখে

১. ফোনের অত্যধিক ব্যবহারে এর রেডিয়েশন ক্যান্সারের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। হ্যাঁ, আপনি যদি সারাদিন ফোন ব্যবহার করেন, তাহলে আপনার টিউমার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, যার থেকে কর্কট রোগ হতে পারে।

২. আপনি যদি আপনার ফোন শরীরের কাছাকাছি রেখে ঘুমান, তবে এর রেডিয়েশন আপনার মস্তিষ্কে গভীর প্রভাব ফেলতে পারে।

৩. বেশিরভাগ গ্রাহক তাদের ফোনটি বেল্টের কাছে তৈরি পকেটে রাখেন। এতে, ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন হাড়ের উপর গভীর প্রভাব ফেলতে পারে এবং শরীরে উপস্থিত খনিজ তরল ক্ষয় হতে পারে। এছাড়া কোমরের কাছে ফোন রাখলে রেডিয়েশনের নেতিবাচক প্রভাবের কারণে শুক্রাণুর সংখ্যা কমতে পারে।

৪. মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহারে ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের ঝুঁকি থাকে।

ফোন ব্যবহার করে হতে পারেন মানসিক রোগের শিকারও

একটি গবেষণার ভিত্তিতে বলা যায়, ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার মস্তিষ্কে খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। কারণ এতে মস্তিষ্কের কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং অক্সিজেন মস্তিষ্কে ঠিকমত পৌঁছায় না। অন্যদিকে, ফোন থেকে নির্গত ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন দ্বারা ডিএনএ (DNA) প্রভাবিত হতে পারে। একই সঙ্গে ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার ইউজারকে মানসিক রোগীও করে দিতে পারে। বর্তমান সময়ে আপনি নিশ্চয়ই দেখেছেন যে বেশিরভাগ মানুষই স্ট্রেস এবং ডিপ্রেশনে ভুগছে, এর একটি কারণ কিন্তু মোবাইল ফোন। সুতরাং প্রয়োজন ছাড়া যথেচ্ছাচারে মোবাইল ফোনের ব্যবহার কমান এবং যতটা সম্ভব এটিকে শরীরের কাছাকাছি রাখা থেকে বিরত থাকুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *