ফের হাজার হাজার ব্র্যডব্যান্ড গ্রাহক হারালো BSNL, ফুলে ফেঁপে উঠছে Jio, Airtel

ওয়্যারলেস পরিষেবার ক্ষেত্রে খুব একটা ভালো ফলাফল তুলে ধরতে না পারলেও, জুলাই মাসে (২০২২) ওয়্যারলাইন বিভাগে পারফরম্যান্সের নিরিখে পরস্পরকে টেক্কা দিল রিলায়েন্স জিও (Reliance Jio) এবং এয়ারটেল (Airtel)। টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়া বা ট্রাই (TRAI) -এর সদ্য প্রকাশিত রিপোর্টে টেলকোদ্বয়ের এই উন্নতি প্রত্যক্ষ করা গিয়েছে। রিপোর্টের মতে, চলতি বছরের জুলাই মাসে Jio এবং Airtel নিজেদের ওয়্যারলাইন পরিষেবার অধীনে যথাক্রমে ১,১৩,৭০৭ এবং ৪৯,৩৪১ জন নতুন গ্রাহক যুক্ত করতে সমর্থ হয়েছে, যা উভয় টেলকোর পক্ষেই যথেষ্ট ভালো ফলাফল। তবে একই সময়ে বেসরকারি ভোডাফোন আইডিয়া (Vi) এবং রাষ্ট্রায়ত্ত ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেড (BSNL) ও মহানগর টেলিফোন নিগম লিমিটেড (MTNL) যথাক্রমে ১৫,৮৪৫, ৫৪,৩৭৫ এবং ১৬,১৬৯ ওয়্যারলাইন গ্রাহক খুইয়েছে বলে ট্রাইয়ের (TRAI) মাসিক সমীক্ষার রিপোর্টে উঠে এসেছে।

দেশজুড়ে বাড়ছে Jio ও Airtel -এর FTTH ব্রডব্যান্ড পরিষেবার চাহিদা

আজ্ঞে হ্যাঁ, শক্তিশালী ফাইবার-টু-দ্য-হোম বা FTTH ব্রডব্যান্ড পরিষেবার হাত ধরেই জিও ও এয়ারটেল সম্প্রতি ওয়্যারলাইন সেগমেন্টে নিজেদের ইউজার বেস মজবুত করেছে। এফটিটিএইচ পরিষেবাকে কেন্দ্র করেই খুব অল্প সময়ের মধ্যে দেশের এক নম্বর ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারে (ISP) পরিণত হয়েছে রিলায়েন্স জিও। বর্তমানে উপভোক্তাদের মধ্যে তাদের জিওফাইবার (JioFiber) কানেকশন গ্রহণের প্রবণতাই সবচেয়ে বেশি। চাহিদার নিরিখে JioFiber -এর পরেই রয়েছে এয়ারটেল এক্সস্ট্রিম ফাইবার (Airtel Xstream Fiber)। সম্প্রতি সাধারণ গ্রাহকদের মধ্যে এয়ারটেলের উক্ত পরিষেবা গ্রহণের হারও ক্রমবর্ধমান।

এদিকে মাত্রাতিরিক্ত হারে ডিএসএল (DSL) ব্রডব্যান্ড গ্রাহক খুইয়ে, একদা ওয়্যারলাইন পরিষেবা ক্ষেত্রের রাজা হিসেবে বিবেচিত বিএসএনএল সম্প্রতি জিও ও এয়ারটেলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পরাজয় মেনেছে। এর ফলে আলোচ্য পরিসরে সংস্থার বাজার শেয়ারেও ধ্বস নেমেছে, যা ট্রাইয়ের রিপোর্টে স্পষ্ট।

সামনে আসা পরিসংখ্যান অনুযায়ী ৩১শে জুলাই, ২০২২ পর্যন্ত ওয়্যারলাইন পরিষেবা সরবরাহকারীদের মধ্যে Jio’র দখলে রয়েছে সর্বাধিক ২৭.৬৭ শতাংশ বাজার শেয়ার। একইসময়ে Airtel ও BSNL -এর দখলে থাকা বাজার শেয়ারের পরিমাণ যথাক্রমে ২৩.৭২ এবং ২৭.৮৯ শতাংশ। এছাড়া জুলাই মাসে ভোডাফোন আইডিয়া বা Vi -এর দখলে থাকা বাজার শেয়ারের পরিমাণ ২.৫৬ শতাংশ বলে জানা গিয়েছে।