স্মার্টফোন যেন এখন আমাদের প্রতি মুহূর্তের নিশ্বাসের সাথে জড়িয়ে গেছে। আর তাই এই খুদে যন্ত্রটি ভালো (পড়ুন মনোমত) পারফরম্যান্স না দিলে বেশ বিরক্তি হয়। বিশেষত এখনকার দিনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফোন চার্জে বসিয়ে রাখা কিংবা ফোনের ব্যাটারি ব্যাকআপ দ্রুত শেষ হয়ে যাওয়া কার্যত একটি বড় সমস্যা। তবে এইদিকটি মাথায় রেখে বিগত কয়েক বছর ধরেই বিভিন্ন স্মার্টফোন কোম্পানি ফাস্ট চার্জিং প্রযুক্তি বিশিষ্ট ফোন লঞ্চ করছে – যেমন Xiaomi, OnePlus, Realme-এর মতো ব্র্যান্ড তাদের স্মার্টফোনে ১৫০ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং অফার করছে। আবার বাজারে আসছে বিশাল ব্যাটারি ক্যাপাসিটির হ্যান্ডসেটও, Samsung-এর অধিকাংশ ফোনেই থাকছে ৬,০০০ এমএএইচ ব্যাটারি। সেক্ষেত্রে যেমন Xiaomi-রা দাবি করছে যে তাদের ফাস্ট চার্জিং ফোনটি ১০ মিনিটে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত চার্জ হয়ে যাবে, সেখানে Samsung তার পুরোনো অভ্যাস বজায় রেখে ২৫ থেকে বড়জোর ৪৫ ওয়াটের ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট দিচ্ছে। এমতাবস্থায় মনে যে প্রশ্নগুলি আসে তা হল, স্মার্টফোন কেনার সময় ব্যাটারি ক্যাপাসিটি দেখা উচিত নাকি গুরুত্ব দেওয়া উচিত ফাস্ট চার্জিংয়ের ওপর? তাছাড়া ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট থাকলে কি ফোনের ব্যাটারি দ্রুত খারাপ হয়? চিন্তা নেই, এই প্রতিবেদনে আমরা বলব এইসব ব্যাপারেই।
ফাস্ট চার্জিং কি ব্যাটারির ক্ষতি করে?
অনেকেই মনে করেন ফাস্ট চার্জিং প্রযুক্তি থাকার কারণে ফোন দ্রুত খারাপ হয়। তবে এই প্রসঙ্গে বলি, ফাস্ট চার্জিংয়ের ফিচার প্রদানের জন্য কোনো ফোনকে সেইভাবেই তৈরি করা হয়। ফলত, ফাস্ট চার্জারের কারণে ফোনের ব্যাটারি লাইফ বা সাইকেলে প্রভাব পড়েনা। কিন্তু যে ফোনটি ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট করেনা তাকে কোনো আলাদা ফাস্ট চার্জার দিয়ে চার্জ করা উচিত নয়। এতে ফোনের ব্যাটারি নষ্ট হয়ে যেতে পারে, ঘটতে পারে ফোন গরম এবং বিস্ফোরণের মতো অন্যান্য সমস্যাও।
ফাস্ট চার্জিং বনাম বড় ব্যাটারি
আপনার প্রতিদিনের জীবন যদি খুব ব্যস্ত হয় যার কারণে ফোন বারবার চার্জ দেওয়া সম্ভবপর না হয়, আপনি যদি বেশিরভাগ সময় বাইরে কাটান, কিংবা যদি আপনার এলাকায় ইলেক্ট্রিসিটির সমস্যা থাকে বা আপনাকে সর্বক্ষণ ফোনটি ব্যবহার করতে হয় তাহলে সেক্ষেত্রে বেশি ব্যাটারি ব্যাকআপযুক্ত হ্যান্ডসেট কেনাই শ্রেয়। আবার আপনার ফোনের ব্যবহার বেশি হলে এবং চার্জিংয়ে বেশি সময় ব্যয় করতে না চাইলে, ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফোন প্লাগে বসিয়ে রাখার বদলে ফাস্ট চার্জিং মডেল কেনাই ভালো।
মুশকিল হচ্ছে যে, এখন স্মার্টফোন কোম্পানিগুলি ফোনে অতি দ্রুত চার্জিংয়ের সুবিধা দিচ্ছে বটে কিন্তু সেগুলির বেশিরভাগই থাকছে কম ক্যাপাসিটির ব্যাটারি। ভালো চার্জিং স্পিড এবং বড় ব্যাটারি, এই দুইয়ে সংমিশ্রিত ফোনের সংখ্যা কম। তাই আপনার প্রয়োজন কোনটা, সেটা দেখেই ফোন কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।
আগামী মাসে লঞ্চ হতে চলেছে iPhone 16। ব্লুমবার্গের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, আসন্ন আইফোন সিরিজের…
টেলিকম সংস্থাগুলি গ্রাহকদের জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রিপেড প্ল্যান অফার করে। তাই যদি আপনি বেশি ডেটা…
Samsung Galaxy S24 FE ইতিমধ্যেই বিভিন্ন সার্টিফিকেশন সাইটে দেখা গিয়েছে, যা ইঙ্গিত করছে এই আপকামিং…
এই বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় দলের সূর্যকুমার যাদব গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন। তিনি এই টুর্নামেন্টে…
BMW গ্রুপের অংশীদারিত্বে Infinix ভারতের বাজারে লঞ্চ করলো নতুন Infinix Note 40 Pro 5G এবং…
মাল্টি-মিলিয়ন ডলারে চুক্তিবদ্ধ হল বিশ্বের বৃহত্তম অ্যাপ নির্ভর ট্যাক্সি পরিষেবা সংস্থা উবের (Uber) এবং প্রখ্যাত…