অনেকেই তাঁদের প্রিয় গাড়ির জন্য ফ্যান্সি রেজিস্ট্রেশন নম্বর, ওরফে ভিআইপি নম্বর বা বিশেষ নম্বর প্লেট নিতে চান। এটি যানবাহন মালিকদের কাছে তাদের পরিচয় প্রকাশের একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হয়ে উঠেছে আজকাল। ফ্যান্সি নম্বর শুধু গাড়ির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, মোটরসাইকেল এবং স্কুটারের মতো দুই চাকার যানবাহনেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
তবে, এই ভিআইপি নম্বর পাওয়ার প্রক্রিয়াটি যতটা সহজ শোনাচ্ছে, ততটা সহজ নয়। এর জন্য একটি ই-নিলাম আয়োজন করা হয়। একটি ভিআইপি নম্বর পাওয়ার প্রথম ধাপ হল অনলাইন রেজিস্ট্রেশন। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক মন্ত্রকের (MoRTH) অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ভিজিট করে, সেখানে প্রথমে রেজিস্ট্রেশন সারতে হবে।
ওয়েবসাইটে পাবলিক ব্যবহারকারী হিসেবে সাইন আপ করার পর, যানবাহনের ডিলারশিপের দেওয়া তালিকা থেকে যে কেউ তাদের পছন্দসই ভিআইপি নম্বরটি বেছে নিতে পারেন। তারপর নম্বরটি বুক করার জন্য এই পর্যায়ে রেজিস্ট্রেশন জন্য প্রয়োজনীয় ফি প্রদান করতে হবে।
ভিআইপি নম্বরের ফি এবং রেজিস্ট্রেশন চার্জ রাজ্য অনুযায়ী ভিন্ন হতে পারে। আবার গাড়ির ধরণের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়। এগুলি সাধারণত সুপার এলিট, সিঙ্গেল ডিজিট এবং সেমি-ফ্যান্সি নম্বর-সহ বিভিন্ন বিভাগে শ্রেণীবদ্ধ। পরবর্তী ধাপ হল নির্বাচিত ভিআইপি নম্বরের জন্য বিডিং করা। রেজিস্ট্রেশনের চতুর্থ দিন থেকে শুরু হয় এটি এবং পঞ্চম দিন পর্যন্ত চলে।
ফলাফল ঘোষণার পর, আবেদনকারীরা যে কোনও বকেয়া টাকা পরিশোধ করতে পারবেন অথবা তাদের বিডের অবস্থা অনুসারে রিফান্ড পেতে পারেন। এরপর রেফারেন্সের জন্য একটি বরাদ্দপত্র জারি করা হয়। ভিআইপি নম্বর পাওয়ার শেষ ধাপ হল, সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক পরিবহন অফিসে (আরটিও) রেজিস্ট্রেশন করা।
আবেদনকারীরা তাদের বরাদ্দপত্র পাওয়ার পর কাজটি সম্পন্ন করার জন্য ৯০ দিনের সময় পাবেন। অনলাইন রেজিস্ট্রেশন থেকে শুরু করে ভিআইপি নম্বরের চূড়ান্ত বরাদ্দ পর্যন্ত সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি সাধারণত প্রায় পাঁচ দিন সময় নেয়।