শুভ্রোদীপ চক্রবর্তী, কলকাতা: দেশে বিলাসবহুল গাড়ির উত্থান গত কয়েক বছরে একটু বেশিই দেখা গিয়েছে। যার দরুন Lamborghini এর মতো জনপ্রিয় জার্মান ব্র্যান্ডের উপস্থিতি বেড়েছে ভারতে। বর্তমান, দেশের বাজারে কোম্পানির একাধিক জনপ্রিয় স্পোর্টস কার বিক্রি হয়। যার মধ্যে রয়েছে, Lamborghini Urus, Huracan, Revuelto এর মতো গাড়ি। ২০২৪ সালে ভারতের ইতিহাসে সবথেকে বেশি বিক্রি নথিভুক্ত করেছে কোম্পানি। চাহিদা এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে গাড়ির চাবি হাতে পেতে ৩ বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে।
গত বছর ভারতে ১১৩টি গাড়ি বেচেছে ল্যাম্বোরগিনি। ২০২২ সালের তুলনায় বিক্রি ১০% বেশি এবং এই প্রথমবারের মতো ব্র্যান্ডটি দেশে বিক্রির সংখ্যা তিন অঙ্ক অতিক্রম করেছে। অটোমোবিলি ল্যাম্বোরগিনির চেয়ারম্যান এবং সিইও স্টিফান উইঙ্কেলম্যানের মতে, সীমাহীন ভবিষ্যতের সম্ভাবনাপূর্ণ দেশ হল ভারত। এখানে ডিলারশিপের সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে কোম্পানি। ভারতে ল্যাম্বোরগিনির সবথেকে বেশি বিক্রি হওয়া গাড়ি হল Urus।
ভারতে ল্যাম্বোরগিনি কেনার গড় বয়স ৪০
স্টিফান উইঙ্কেলম্যান বলেন, ভারতে ল্যাম্বোরগিনি ক্রেতাদের গড় বয়স ৪০ বছরের কম, যা চীনের পরে বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ গ্রাহকদের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। উল্লেখ্য, দেশে এই কোম্পানির গাড়ির দাম রয়েছে ৪ কোটি থেকে ৮.৮৯ কোটি টাকার মধ্যে।
আজ বুক করলে ২০২৮ সালে ডেলিভারি
আজ বুক করলে গাড়ির ডেলিভারি পাবেন তিন বছর পর। এমন গগনচুম্বী চাহিদা এর আগে দেখা যায়নি। কোম্পানির কথায়, দেশের ধনী ব্যক্তিরা ইতিমধ্যে যা অগ্রিম বুকিং করেছেন, তার ফলে ২০২৭ পর্যন্ত আমাদের অর্ডার বুক ভরে গিয়েছে। অর্থাৎ যাঁরা আগামীদিনে এই গাড়ি কেনার জন্য শোরুমে যাবেন, তাঁরা হাতে চাবি পাবেন সেই ২০২৮ সালে।
ভারতে ল্যাম্বোরগিনির মোট বিক্রির অর্ধেকই Urus মডেল। আগামী ১৮ মাস এই গাড়ির অর্ডার বই ভর্তি। ভারতের বাজারে ক্রেতাদের এই প্রবণতা বিলাসবহুল গাড়ির প্রতি বিশ্বব্যাপী পরিবর্তনকে প্রতিফলিত করে। শুধু ল্যাম্বোরগিনি নয়, মার্সিডিজ-মেব্যাকের বিক্রিও বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলস্বরূপ, এই জার্মান সংস্থাটিও উপস্থিতি সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করছে।
Photo Credit – Wallpaperaccess .com