একটি ইলেকট্রিক গাড়ির দামের অনেকটা জুড়ে থাকে ব্যাটারির খরচ। এদিন টাটা মোটরস জানিয়েছে, ব্যাটারির দাম কমায় ইলেকট্রিক গাড়ি উৎপাদনের খরচ কমেছে। যার মানে ইভির দামেও পতন দেখতে পারবেন ক্রেতারা। এই মুহূর্তে ভারতের যাত্রীবাহী ইলেকট্রিক গাড়ির বাজারে সবথেকে বেশি অংশীদারিত্ব রয়েছে টাটাদের।
ব্যাটারির দাম কমার ফলে সস্তা হবে EV
দাম কমার বিষয়ে টাটা মোটরসের প্যাসেঞ্জার ভেহিকেল এবং ইলেকট্রিক মোবিলিটি ব্যবসার ম্যানেজিং ডিরেক্টর শৈলেশ চন্দ্র বলেন, পেট্রল-ডিজেল চালিত গাড়ি ও বৈদ্যুতিক গাড়ির দামের মধ্যে পার্থক্য ক্রমশ কমে আসছে। ভারত মোবিলিটি গ্লোবাল এক্সপো-তে এই কথা জানিয়েছেন তিনি। অর্থাৎ আগামী দিনগুলিতে আরও সস্তা ইভির আশা করতেই পারেন ক্রেতারা।
বিশেষ করে যাঁরা ভবিষ্যতে টাটা মোটরসের ইলেকট্রিক গাড়ি কেনার পরিকল্পনা করছেন। গত কয়েক মাসের ছবি যদি দেখেন, টাটা, হুন্ডাই, এমজি, অডি-সহ একাধিক কোম্পানি ইলেকট্রিক গাড়ি লঞ্চ করেছে দেশে। পেট্রল বা ডিজেল চালিত গাড়ি বানাতে যে টাকা লাগে, তার তুলনায় বেশি টাকা খরচ হয় ইভিতে। কারণ এই গাড়িগুলিতে একাধিক আমদানিকৃত উপাদানের প্রয়োজন হয় কোম্পানিগুলির।
পাশাপাশি, ব্যাটারি সংক্রান্ত নানা কাঁচামাল বাইরের দেশ থেকে আমদানি করে কোম্পানিগুলি। যার ফলে দাম বেড়ে যায় সাধ্যের বাইরে। তবে এদিন টাটা মোটরস জানিয়েছে, ব্যাটারির দাম অনেকটাই কমেছে। একটি ইভিতে বড় অবদান রাখে ব্যাটারি। সেটার খরচ বহন করার ফলে ইভি গাড়ির দাম বেশি রাখতে বাধ্য হয় কোম্পানিগুলি। দেশের ইভি গতিশীলতা নিয়েও আশাবাদী শৈলেশ চন্দ্র। তাঁর মতে, গাড়ি বাজারের পরিধি আরও বাড়তে চলেছে।
প্রসঙ্গত, এই অটো এক্সপো-তে টাটা মোটরস হাজির করেছে Sierra EV এবং Harrier EV। আধুনিক ধাঁচে বানানো গাড়িগুলির ডিজাইন নজর কেড়েছে অনেকের। যদিও এগুলির আনুষ্ঠানিক লঞ্চ হওয়া বাকি। পাশাপাশি, এই অটো এক্সপো-তেই দেশে প্রথম ইলেকট্রিক গাড়ি e Vitara উন্মোচন করেছে ভারতের বৃহত্তম অটোমেকার মারুতি সুজুকি। এই সব কারণে ভবিষ্যতের ইভি বাজার উজ্জ্বল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।