২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৫ ঘণ্টা চলে যায় শুধু মোবাইল ঘাঁটাতেই। এই অভ্যাসের ফলে উৎপাদনশীলতা কতটুকু? প্রশ্ন এখনও অধরা। তবে সম্প্রতি এক সমীক্ষায় ভারতীয়দের মোবাইল ঘাঁটা নিয়ে এক পরিষ্কার ছবি সামনে এল। এদিন, ইওয়াই সংস্থা একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। যেখানে তুলে ধরা হয়েছে, ভারতীয়রা স্মার্টফোন বা ডিজিটাল ডিভাইসের প্রতি কতটা আসক্ত এবং দিনে কতটা সময় ব্যয় করেন।
ভারতে ১২০ কোটির বেশি স্মার্টফোন ব্যবহারকারী রয়েছে। তার মধ্যে ৯৫ কোটি ব্যবহারকারী ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। বলাই বাহুল্য, সস্তা মোবাইল ফোন এবং সহজলভ্য ইন্টারনেটের কারণে ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে ভারতের ডিজিটালাইজেশন।
তবে এটাও উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, এই সহজলভ্যতা ভারতীয়দের ফোনের প্রতি আসক্ত করে তুলেছে। দিনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা স্ক্রিনে চোখ আটকে থাকছে কোটি কোটি ভারতীয়দের।
গ্লোবাল ম্যানেজমেন্ট কনসালটেন্সি সংস্থা ইওয়াই-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতীয়রা তাদের স্মার্টফোনে আগের চেয়েও বেশি সময় ব্যয় করছেন। ভারতীয় ব্যবহারকারীরা প্রতিদিন গড়ে পাঁচ ঘণ্টা সোশ্যাল মিডিয়া, গেমিং এবং ভিডিয়ো স্ট্রিমিংয়ে সময় ব্যয় করছেন বলে দাবি করা হয়েছে।
রিপোর্টে এটাও তুলে ধরা হয়েছে যে, কীভাবে সাশ্রয়ী মূল্যের ইন্টারনেট এবং ক্রমবর্ধমান ডিজিটালাইজেশন বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশটিতে মিডিয়ার গ্রহণযোগ্যতাকে এক নতুন আকার দিচ্ছে।
এই প্রথম টেলিভিশনকে ছাড়িয়ে ভারতের মিডিয়া এবং বিনোদন শিল্পের বৃহত্তম অংশ হয়ে উঠেছে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলি। যার মূল্য ২০২৪ সালে ছিল ২৯.১ বিলিয়ন ডলার। যদিও স্মার্টফোন আসক্তির ক্ষেত্রে ভারতের থেকেও এগিয়ে রয়েছে আরও দুটি দেশ।
দৈনিক মোবাইল স্ক্রিন টাইমের ক্ষেত্রে ভারত তৃতীয় স্থানে আছে, যেখানে ইন্দোনেশিয়া এবং ব্রাজিল রয়েছে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে। – ২০২৪ সালে দুই দেশ মোট ১,১০০,০০০,০০০,০০০ ঘণ্টা স্মার্টফোনে ব্যয় করেছে।
অনলাইনে ভারতীয়দের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতির পিছনে অন্যতম কান্ডারি বলা যেতে পারে মেটা এবং অ্যামাজনের মতো বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তি সংস্থাগুলিকে। পাশাপাশি মুকেশ আম্বানি এবং ইলন মাস্কের জিও এবং এক্স এর মতো সংস্থাগুলির কথা ভুললেও চলবে না।