মহাকাশে কৃত্রিম উপগ্রহ বা স্যাটেলাইট পাঠিয়ে তার মাধ্যমে মোবাইল সংযোগ দেওয়ার পরিকাঠামোয় জোর দিচ্ছে একাধিক দেশের সরকার। এই তালিকায় রয়েছে ভারতও। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ইতিমধ্যে স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করার প্রস্তুতি চলছে। জিও, এয়ারটেলের পাশাপাশি ইলন মাস্কের স্টারলিংকের পক্ষ থেকে খুব শীঘ্রই দেশজুড়ে মহাকাশ ভিত্তিক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা পাওয়া যাবে।
স্যাটেলাইট ব্রডব্যান্ড পরিষেবা নতুন যুগের সুচনা করবে
স্যাটেলাইট ব্রডব্যান্ড পরিষেবার জন্য বিদেশি কোম্পানিগুলির কাছে ভারতের দরজা খুলে দিয়েছে কেন্দ্র। এই ক্ষেত্রে আরও গবেষণা ও বিনিয়োগের প্রয়োজন রয়েছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। শুধু তাই নয়, যোগাযোগ মাধ্যমের ক্ষেত্রে এই প্রযুক্তি এক নতুন যুগের সূচনা করবে বলে মনে করছেন অনেকে। স্যাটেলাইট প্রযুক্তির মাধ্যমে মোবাইল টাওয়ার ছাড়াই ফোনে সংযোগ পাওয়া যায়। এটি এই প্রযুক্তির সবথেকে বড় সুবিধা।
Starlink নতুন প্রযুক্তি নিয়ে কাজ শুরু করেছে
ইতিমধ্যেই একাধিক কোম্পানি সফল ভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন করেছে। আমেরিকার টেলিকম অপারেটর ভেরাইজন সম্প্রতি AST স্পেস মোবাইল ব্লুবার্ড স্যাটেলাইট ব্যবহার করে লাইভ ভিডিয়ো কলের চেষ্টা করেছে। এই পরীক্ষা মার্কিন ফেডারেল কমিউনিকেশন কমিশন (FCC) থেকে সবুজ সংকেতও পেয়েছে। অন্যদিকে, স্টারলিংক সম্প্রতি ডাইরেক্ট-টু-সেল প্রযুক্তি নিয়ে পরীক্ষা শুরু করেছে, যা আমেরিকার টেলিকম কোম্পানিগুলির জন্য একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য।
এক রিপোর্ট অনুযায়ী, AST SpaceMobile-এর পাঁচটি কার্যকরী ব্লুবার্ড স্যাটেলাইট এই পরীক্ষার জন্য সক্রিয় করা হয়েছিল, যা স্যাটেলাইট সংযোগের পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে। এই পরীক্ষায় ছিল, সম্পূর্ণ ডেটা পরিষেবা থেকে শুরু করে ভিডিয়ো কল। ভেরাইজন দাবি করেছে যে, এর নেটওয়ার্ক আমেরিকার ৯৯% অঞ্চলে বিস্তৃত এবং স্যাটেলাইট-টু-ডিভাইস নেটওয়ার্কের মাধ্যমে এটি সেইসব প্রত্যন্ত অঞ্চলেও পৌঁছতে পারে, যেখানে ঐতিহ্যবাহী মোবাইল টাওয়ার স্থাপন করা সম্ভব নয়।
ভেরাইজনের সিইওর মতে, এই প্রযুক্তির মাধ্যমে আমেরিকায় মোবাইল পরিষেবায় এক নতুন যুগের সূচনা হয়েছে। শুধু তাই নয়, সেলুলার নেটওয়ার্কগুলিকে স্যাটেলাইটের সাথে সংযুক্ত করার পথ প্রশস্ত হয়েছে। এই পরিষেবাটি ডেটা ট্রান্সমিশন প্রক্রিয়াও সক্ষম করবে বলে আশা করছেন অনেকে।