টেলিকম

SIM Card Rules: সিম কার্ড কিনে এই কাজ করলে ৫০ লক্ষ টাকা জরিমানা, সতর্ক করল টেলিকম দফতর

Published on:

Sim card users may face-fines-up-to-50-lakh-for-involvement this activities

সিম কার্ড সম্পর্কিত জালিয়াতি রুখতে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে টেলিকম দফতর। যার মধ্যে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে KYC। শুধু তাই নয়, যেসব অপারেটরগুলি সিম কার্ড ইস্যু করে তাদের জন্য বিশেষ ভাবে নিয়মগুলি কঠোর করেছে টেলিকম বিভাগ। সম্প্রতি, ভারতে সাইবার জালিয়াতির ঘটনা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। দেখা গিয়েছে যে, অপরাধীরা সিম কার্ড এবং অন্যান্য টেলিযোগাযোগ শনাক্তকারী, যেমন SMS হেডার, নাগরিকদের প্রচুর পরিমাণে প্রতারণামূলক বার্তা পাঠাতে, প্রায়শই ছদ্মবেশ ধারণের মতো পদ্ধতির আশ্রয় নিচ্ছে।

ভুয়ো কার্যকলাপ

টেলিকম বিভাগের মতে, এমন কিছু ব্যক্তি আছে যারা তাদের নামে সিম কার্ড সংগ্রহ করে এবং ব্যবহারের জন্য অন্যদের কাছে হস্তান্তর করে। অনেক ক্ষেত্রে সেই ব্যবহারকারীরা সাইবার জালিয়াতির সাথে জড়িত থাকে, যার ফলে যিনি মূল সিমকার্ডধারী তিনিও এই ভুয়ো কার্যকলাপের সঙ্গে অসাবধানতাবশত জড়িয়ে পড়েন। তাছাড়া, এমন কিছু ঘটনা রয়েছে যেখানে জাল নথিপত্র, জালিয়াতি বা ছদ্মবেশ ধারণের মাধ্যমে সিম কার্ড সংগ্রহ করে অপরাধীরা।

আরও একটি উদ্বেগ, টেলিকম কোম্পানির এজেন্ট হিসাবে সিম কার্ড যারা বিক্রি করেন তারা গোটা পদ্ধতি সহজতর করেছে, যার ফলে অপরাধীরা প্রতারণা করার সুযোগ পাচ্ছে। এটি তাদের অপরাধের সঙ্গে জড়িত করে তোলে। প্রায়শই প্রতারণামূলক বার্তা পাঠানোর জন্য টেলিযোগাযোগে ব্যবহৃত অন্যান্য মূল শনাক্তকারী – যেমন IP ঠিকানা, IMEI নম্বর (যা মোবাইল হ্যান্ডসেট শনাক্ত করে), এবং SMS হেডার – পরিবর্তন করে বলে অভিযোগ উঠেছে।

টেলিযোগাযোগ বিভাগ সতর্ক করে জানিয়েছে যে, এই ধরনের কার্যকলাপগুলি টেলিযোগাযোগ আইন, ২০২৩ এর অধীনে গুরুতর লঙ্ঘন হিসাবে বিবেচিত। বিশেষ করে, ধারা ৪২ (৩) (c) টেলিযোগাযোগ শনাক্তকারীর সাথে হস্তক্ষেপ নিষিদ্ধ করে। ধারা ৪২ (৩) (e) অনুযায়ী, প্রতারণামূলক উপায়ে গ্রাহক পরিচয় মডিউল বা টেলিযোগাযোগ শনাক্তকারী অর্জন থেকে কাউকে বিরত রাখে।

এছাড়াও, ধারা ৪২ (৭) অনুযায়ী, এই ধরনের অপরাধগুলি আমলযোগ্য এবং জামিন অযোগ্য। যেমনটি ১৯৭৩ সালের ফৌজদারি কার্যবিধিতে উল্লেখ করা হয়েছে।