লোকসানের মুখে জনপ্রিয় ই-কমার্স সাইট ফ্লিপকার্ট। এদিন, অভিভাবক সংস্থা ওয়ালমার্টের সিএফও জন ডেভিড রেইনি কোম্পানির চতুর্থ ত্রৈমাসিকের আর্থিক বছরের ফলাফল ঘোষণা করার সময় বিশ্লেষকদের এই কথা বলেন। কারণ হিসাবে কাঠগড়ায় দাঁড় করান ফ্লিপকার্ট বিগ বিলিয়ন ডে সেল (Flipkart The Big Billion Day Sale) কে। এই সেলের সময় পরিবর্তন হওয়ার কারণে বার্ষিক বৃদ্ধি কমেছে বলে মনে করছে সংস্থাটি।
ওয়ালমার্টের সিএফও জন ডেভিড রেইনি বলেন, “প্রত্যাশিতভাবেই, ফ্লিপকার্টের বিগ বিলিয়ন ডে’স ইভেন্টের সময়, বার্ষিক (YoY) বিক্রি তুলনার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। ভারতের বাইরে, সমস্ত বাজারে ই-কমার্স বিক্রয় ২০ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।”
ফ্লিপকার্টের সেল ইভেন্টে পরিবর্তনের ফলে ওয়ালমার্টের সামগ্রিক আন্তর্জাতিক রেভেনিউ বৃদ্ধি স্থিতিশীল হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। চতুর্থ ত্রৈমাসিকে এই বিভাগে বেন্টনভিল-ভিত্তিক খুচরো প্রধানের নেট বিক্রি মাত্র ০.৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যার ফলে বার্ষিক রেভেনিউ ৩২.২ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
চতুর্থ ত্রৈমাসিকের আয়ের রিপোর্টে সংস্থাটি জানিয়েছে, “যে আন্তর্জাতিক ই-কমার্স বিক্রি ৪ শতাংশ এবং বিজ্ঞাপন ব্যবসা ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। উভয় বিভাগই ফ্লিপকার্টের বিবিডির (বিগ বিলিয়ন সেল) সময় দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে।”
উল্লেখ্য, ফ্লিপকার্টের দ্য বিগ বিলিয়ন ডে সেল সাধারণত অক্টোবরে অনুষ্ঠিত হয় (এটি ২০২৩ সালে ৮-১৫ অক্টোবর পর্যন্ত চলেছিল)। কিন্তু গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ৬ অক্টোবর পর্যন্ত চলেছে এই সেল, যা তৃতীয় ত্রৈমাসিকে ওয়ালমার্টের আন্তর্জাতিক রেভেনিউকে শক্তিশালী করেছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
প্রসঙ্গত, ভারত ছাড়া, ওয়ালমার্টের বিদেশি বাজারগুলির মধ্যে রয়েছে চিন, মেক্সিকো এবং কানাডা। যেখানে উৎসবের কারণে শক্তিশালী বৃদ্ধির দেখা গিয়েছে। ২০১৮ সালে ফ্লিপকার্ট অধিগ্রহণের পর ওয়ালমার্ট ভারতে তাদের উপস্থিতি আরও প্রসারিত করতে শুরু করে।