অঙ্কিতা মন্ডল, কলকাতা: সাইবার নীতি নিয়ে কঠোর হচ্ছে মেটার মালিকানাধীন জনপ্রিয় মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। ভারতে অনলাইন জালিয়াতি কমাতে এক মাসে ৯৯ লক্ষের বেশি বা প্রায় ১ কোটি ভারতীয়দের অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করে তাদের প্ল্যাটফর্মের অপব্যবহার রোধে কড়া বার্তা দিয়েছে। এর মধ্যে ১৩.২৭ লক্ষ নম্বরের বিরুদ্ধে সরাসরি কোনও অভিযোগ না থাকলেও, স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থার মাধ্যমে সেগুলো বন্ধ করে দিয়েছে ওই অ্যাপ সংস্থা।
কেন ৯৯ লক্ষ অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করল হোয়াটসঅ্যাপ?
ভারতে লক্ষ লক্ষ সক্রিয় ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর মধ্যে হোয়াটসঅ্যাপ অন্যতম সর্বাধিক ব্যবহৃত সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। তবে, সাম্প্রতিক সময়ে প্রতারকদের লক্ষ্য হয়ে উঠেছে এই অ্যাপ। বাড়ছে সাইবার অপরাধ তথা আর্থিক প্রতারণা। তাই প্রতারকদের রুখতে এই বছরের ১ থেকে ৩০ জানুয়ারির মধ্যে এক কোটির কাছাকাছি হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করেছে মেটা। বিশেষ করে, স্প্যাম, ভুয়ো তথ্য ছড়ানো এবং প্রতারণামূলক কার্যক্রমে লিপ্ত অ্যাকাউন্টগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
অটোমেটেড সিস্টেম সন্দেহজনক অ্যাকাউন্ট সনাক্ত করছে
হোয়াটসঅ্যাপের একটি উন্নত স্বয়ংক্রিয় সিস্টেম রয়েছে যা সন্দেহজনক আচরণের জন্য ব্যবহারকারীর কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করে। যদি কোনও অ্যাকাউন্ট স্প্যাম বার্তা, প্রতারণামূলক কার্যকলাপে জড়িত থাকে বা প্ল্যাটফর্ম নীতি লঙ্ঘন করে, তাহলে সিস্টেমটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে অ্যাকাউন্টটিকে চিহ্নিত করে নিষিদ্ধ করে। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, ৯৯ লক্ষের মধ্যে প্রায় ১৩.২৭ লক্ষ অ্যাকাউন্ট সক্রিয়ভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অর্থাৎ ব্যবহারকারীর কোনও অভিযোগ পাওয়ার আগেই সেগুলি ব্লক করে দেওয়া হয়েছে।
সুরক্ষিত থাকবেন কীভাবে
হোয়াটসঅ্যাপ জানিয়েছে, অপরিচিত নম্বরে বার্তা আদানপ্রদান এড়িয়ে চলাই ভালো। ভুয়ো পরিচয়ে কারও সঙ্গে চ্যাট চালিয়ে যাওয়া বা একাধিক বার মেসেজ পাঠানো হলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে। হোয়াটসঅ্যাপে একসঙ্গে অনেক নম্বরে বার্তা পাঠানো হলেও কর্তৃপক্ষের নজরে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়া, ভুয়া তথ্য ছড়ানো, ঘৃণাসূচক মন্তব্য বা আপত্তিকর কথোপকথনেও হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।