সাইবার অপরাধীদের ফাঁদ ফেলার জন্য প্রিয় অস্ত্র দুটি অ্যাপ – WhatsApp এবং Telegram। এদিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক দ্বারা প্রকাশিত রিপোর্টে সেই তথ্যই উঠে এল। সরকারের দাবি, সাইবার অপরাধের জন্য সবথেকে বেশি অপব্যাবহার করা হচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপ। এই অ্যাপের ভিডিয়ো কল ফিচারের মাধ্যমে সাইবার হানার শিকার হয়েছেন অসংখ্য মানুষ।
সাইবার অপরাধ সবথেকে বেশি WhatsApp অ্যাপে
2024 সালের প্রথম তিন মাসে, 43,797টি সাইবার অপরাধের অভিযোগ রিপোর্ট করা হয়েছিল। যার মধ্যে 22,680টি হোয়াটসঅ্যাপ সম্পর্কিত। প্রতারণামূলক কার্যকলাপের জন্য সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠেছে এই মেসেজিং অ্যাপ। 19,800টি অভিযোগ নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে টেলিগ্রাম।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বার্ষিক রিপোর্ট 2023-24 অনুযায়ী, সাইবার অপরাধীরা এই প্রতারণার নাগাল ও প্রভাবকে আরও প্রসারিত করতে এবং টার্গেটেড স্ক্যামগুলি পরিচালনা করতে, গুগল বিজ্ঞাপনগুলির উপর ব্যাপকভাবে নির্ভর করে। বিনিয়োগ নিয়ে করা হচ্ছে সবথেকে বেশি প্রতারণা।
বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগ সংক্রান্ত জালিয়াতির ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। তার পর রয়েছে মানি লন্ডারিং স্ক্যাম এবং ডিজিটাল জালিয়াতি। অপরাধীরা ব্যবহারকারীদের ফোনে ভুয়ো ল্যান্ডিং অ্যাপ প্রবেশ করিয়ে ফেসবুক বিজ্ঞাপনগুলি ব্যবহার করছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সাইবার নিরাপত্তা শাখা, I4C ইতিমধ্যে সাইবার অপরাধ রুখতে সমন্বিত প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি, সরকার হাজার হাজার হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট ব্লক করেছে সরকার। অপরাধীদের দ্বারা পরিচালিত এই অ্যাকাউন্টগুলি আন্তর্জাতিক নম্বরগুলির সাথে যুক্ত ছিল এবং, ভারতীয় ব্যবহারকারীদের লক্ষ্য করে ডিজিটাল জালিয়াতি চালানোর জন্য ব্যবহার করা হচ্ছিল।
সাইবার বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশ্বব্যাপী 300 কোটির কাছাকাছি সক্রিয় ব্যবহারকারী রয়েছে হোয়াটসঅ্যাপে। তাছাড়া ভারতে এর জনপ্রিয়তা অতুলনীয়। প্রতিদিন অজস্র মানুষ এই অ্যাপ ব্যবহার করেন। ফলে বৃহৎ ডেটা বেস পেয়ে যাচ্ছে সাইবার অপরাধীরা। তার পর নানা কায়দায় তাদের ফাঁদে ফেলা হচ্ছে।