Elon Musk: 'মঙ্গলময়' হবে পৃথিবী! লাল গ্রহে ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখছেন মাস্ক, 10 লাখ লোক পাঠানোর প্ল্যান

ভারত হোক বা চীন থেকে আমেরিকা, বিশ্বের তাবড় দেশ-মহাদেশই কেবলমাত্র চাঁদে পা রেখে সন্তুষ্ট নয়। বরঞ্চ তারা দীর্ঘদিন ধরে...
Anwesha Nandi 13 Feb 2024 11:28 AM IST

ভারত হোক বা চীন থেকে আমেরিকা, বিশ্বের তাবড় দেশ-মহাদেশই কেবলমাত্র চাঁদে পা রেখে সন্তুষ্ট নয়। বরঞ্চ তারা দীর্ঘদিন ধরে পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহে বসতি স্থাপনের স্বপ্ন লালন করে আসছে, এমনকি চন্দ্রপৃষ্ঠে জমি কেনার পর্বও বহুদিন আগে শুরু হয়েছে – কিন্তু এত কিছু সত্ত্বেও এই স্বপ্ন কবে পূরণ হবে তার নিশ্চয়তা মেলেনি। সেক্ষেত্রে এই ২০২৪-এর বুকে দাঁড়িয়ে SpaceX কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা এবং বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্ক, সবার চিন্তা-ভাবনার থেকে একধাপ এগিয়ে গিয়ে মহাকাশে পৃথিবীর জয়যাত্রা সম্পর্কে একটি উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা করেছেন। সম্প্রতি তিনি আগামী কয়েক বছরের মধ্যে মঙ্গলগ্রহে মানুষের বসবাসের সম্ভাবনার প্ল্যান সামনে এনেছেন, এমনকি এই 'মিশন মঙ্গল' পরিকল্পনা নিয়ে কাজও শুরু করেছেন বলে জানিয়েছেন মাস্ক।

Mission Mangal: সোশ্যাল মিডিয়ায় আবার বোমা ফাটালেন ইলন মাস্ক

গতকাল অর্থাৎ রবিবার, মাস্ক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে ঘোষণা করেছেন যে, তার লক্ষ্য হল লাল গ্রহ মানে মঙ্গলে এক মিলিয়ন মানুষকে নিয়ে যাওয়া। এই প্রসঙ্গে তিনি সভ্যতার সিঙ্গেল-প্ল্যানেট গ্রেট ফিল্টার মেয়াদ এবং মঙ্গল গ্রহের টিকে থাকার কথা বলেছেন। সোজা কথায় বললে পৃথিবী ছেড়ে মঙ্গলে ঘর বাঁধার ইতিবাচকতার দিকটি নিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন মাস্ক। এছাড়াও এই মঙ্গল গ্রহ অভিযানে তাঁর স্পেসএক্স কোম্পানির স্টারশিপ রকেট সহায়ক হবে বলে এর ক্ষমতা সম্পর্কে দাবি করেছেন তিনি – একটি টুইটে মাস্ক বলেছেন যে 'একদিন মঙ্গল গ্রহে ভ্রমণের বিষয়টিও সারাদেশে ঘুরে বেরোনোর মতো সাধারণ জিনিস হবে।

ইলন মাস্কের সাম্প্রতিক বিবৃতিগুলি থেকে একথা স্পষ্ট যে, স্পেসএক্স, আগামী কয়েক বছরে তাঁর এই দৃষ্টিভঙ্গিকে বাস্তবে পরিণত করতে আগ্রাসীভাবে কাজ করছে। যদিও, তিনি স্বীকার করেছেন যে মঙ্গলে একটি স্বনির্ভর সভ্যতা প্রতিষ্ঠার জন্য প্রচুর প্রচেষ্টা এবং উদ্ভাবনের প্রয়োজন হবে। ইতিমধ্যেই উচ্চাভিলাষী মাস্ক তাঁর টিমের সাহায্যে অকল্পনীয় রিইউজেবল অরবিটাল রকেট বানিয়ে ফেলেছেন বটে, তবে এখনও মঙ্গল অভিযানকে কঠিন প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে।

উল্লেখ্য, এখানেই কিন্তু তাঁদের কাজের শেষ নয়! গত সপ্তাহেই মাস্ক ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে, তাঁদের স্টারশিপ পাঁচ বছরের মধ্যে চাঁদে পৌঁছাতে পারে। আবার ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে মহাকাশের যে দূরত্বে মানুষ যেতে পেরেছে, সেই তুলনায় স্পেসএক্সের ক্রু ড্রাগন ক্যাপসুল নাকি মহাকাশচারীদের আরও অনেক বেশি দূরে নিয়ে যাবে। সব মিলিয়ে মহাশূন্য নিয়ে ধনকুবেরের স্বপ্ন যে বেশ বিকশিত হচ্ছে তাতে সন্দেহ নেই, কিন্তু তাঁর অন্য স্বপ্নের মতো এটি ভোরের স্বপ্ন হয় নাকি দিবাকালের (মানে পূরণ হয় কিনা), সেটাই এখন দেখার!

Show Full Article
Next Story