Chandrayan-3 লঞ্চের আগে বিশেষ ট্রায়ালে সফল ISRO, ইতিহাস রচনার পথে ভারতের মহাকাশ গবেষণা

প্রায় চার মাস আগেই ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ISRO ঘোষণা করেছিল যে, আগামী জুনে চন্দ্রপৃষ্ঠ অন্বেষণে তাদের তৃতীয় মিশন...
Anwesha Nandi 21 Feb 2023 1:12 PM IST

প্রায় চার মাস আগেই ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ISRO ঘোষণা করেছিল যে, আগামী জুনে চন্দ্রপৃষ্ঠ অন্বেষণে তাদের তৃতীয় মিশন পরিচালনা করবে। সেক্ষেত্রে চাঁদের মাটিতে নিজেদের উপস্থিতি জানান দেওয়ার এই কর্মসূচিতে মানে 'Chandrayan-3' মিশনে তারা এবার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক অতিক্রম করেছে। গতপরশু অর্থাৎ রবিবার ISRO জানিয়েছে যে, 'Chandrayan-3' ল্যান্ডারের ইলেক্ট্রো-ম্যাগনেটিক ইন্টারফেরেন্স পরীক্ষা সম্প্রতি সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এই বিশেষ ট্রায়াল পরীক্ষাটি গত ৩১শে জানুয়ারি থেকে ২রা ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মানে তিনদিন ধরে ইউআর রাও (UR Rao) স্যাটেলাইট সেন্টারে পরিচালিত হয়েছিল, যাতে সবুজ সংকেত পাওয়ায় ISRO তাদের পরিকল্পনা মাফিক এগিয়ে যাবে।

'মুন ওয়াক'-এর দিকে আরও একধাপ এগিয়ে গেল ISRO

এতটুকু পড়ে হয়ত আপনার মনেও প্রশ্ন এসেছে যে ইলেক্ট্রো-ম্যাগনেটিক ইন্টারফেরেন্স টেস্ট বিষয়টি আসলে কী? সেক্ষেত্রে বলি, প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ কাজের আগে যে ট্রায়ালের ব্যাপার থাকে, এই টেস্টটিও তেমনই একটি পরীক্ষা। স্যাটেলাইট সাব-সিস্টেমগুলির কার্যকারিতা এবং মহাকাশের পরিবেশের ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক স্তরের সাথে সেগুলি কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ, তা নিশ্চিত করার জন্য এই ইএমআই/ইএমসি (EMI/EMC) পরীক্ষা করা হয়। এটি, স্যাটেলাইট মিশন বা স্যাটেলাইট তৈরির ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।

ইসরোর তথ্যের ভিত্তিতে বলা যায় যে প্রপালশন মডিউল, ল্যান্ডার মডিউল এবং রোভার হল 'চন্দ্রযান-৩' মিশনের তিনটি প্রধান হাতিয়ার; আর মিশনের জটিলতার প্রয়োজনে এই মডিউলগুলির মধ্যে রেডিও-ফ্রিকোয়েন্সি (RF) কানেকশন স্থাপন করা প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে আসন্ন মিশনের আগে সংস্থাটি লঞ্চার কম্প্যাটিবিলিটি, আরএফ (RF) সিস্টেমের অ্যান্টেনা পোলারাইজেশন, মিশনের অবতরণ-পরবর্তী পর্বের জন্য ল্যান্ডার ও রোভারের কম্প্যাটিবিলিটি নির্ধারণ ইত্যাদি বিষয় সুনিশ্চিত করতেই ইএমআই/ইএমসি পরীক্ষা চালিয়েছিল যাতে সন্তোষজনক ফলাফল মিলেছে।

জুনে লঞ্চ হবে Chandrayan-3

চন্দ্রযান-৩ হল, ইসরোর চন্দ্রযান-২ মিশনের পরবর্তী কর্মসূচি যা আগামী জুনে কার্যকর হবে। এর মাধ্যমে, ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থাটি প্রমাণ করবে যে চন্দ্রপৃষ্ঠে নিরাপদে অবতরণ এবং ঘুরে বেড়ানোর সামগ্রিক ক্ষমতা আমাদের দেশেরও রয়েছে। শুধু তাই নয়, এই মিশনে চন্দ্রযান চাঁদের আশেপাশের তথ্যও সংগ্রহ করবে। এক্ষেত্রে চাঁদ থেকে থার্মাল কনডাক্টিভিটি, তাপমাত্রা, ভূমিকম্প এবং প্লাজমা ডেন্সিটি সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহের জন্য চন্দ্রযানে বিভিন্ন যন্ত্র ইনস্টল করা হয়েছে।

Show Full Article
Next Story