Chandrayaan 4: ইসরোর বড় পরিকল্পনা, প্রথমবার চাঁদ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে ফিরে আসবে চন্দ্রযান ৪
সম্প্রতি আয়োজিত ন্যাশনাল স্পেস সায়েন্স সিম্পোজিয়ামে ভাষণ দেওয়াকালীন 'ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন' (ISRO) -এর...সম্প্রতি আয়োজিত ন্যাশনাল স্পেস সায়েন্স সিম্পোজিয়ামে ভাষণ দেওয়াকালীন 'ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন' (ISRO) -এর প্রধান এস সোমানাথ (S Somanath) ভারতের পরবর্তী চন্দ্র-অভিযান সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। এক্ষেত্রে ISRO প্রধান 'চন্দ্রযান ৪' (Chandrayaan 4) মিশন পরিচালনার ক্ষেত্রে আসা সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন। পাশাপাশি এই চতুর্থ চন্দ্র অভিযানের প্রক্রিয়া কতদূর অগ্রসর হয়েছে সে বিষয়ে জানা গেছে।
চন্দ্রযান ৪ মিশন সম্পর্কে আলোচনা করাকালীন এস সোমানাথ বেশ কয়েকটি পয়েন্ট তুলে ধরেছেন। একটি নতুন মিশনের ক্ষেত্রে কোন কোন বিষয়ে খেয়াল রাখা উচিত, কিধরনের পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়, কোন কোন কাজ অবশ্যই করণীয় ইত্যাদি বিষয়ে আলোকপাত করেছেন।
পূর্বে পরিচালিত মিশন থেকে চন্দ্রযান ৪ -কে আলাদা করার ক্ষেত্রে কোন কোন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে পারে ISRO?
১. বহুমুখী লঞ্চের প্রয়োজনীয়তা: চন্দ্রযান ৩ মিশনের ক্ষেত্রে ফিরে আসার কোনো প্রয়োজন ছিল না। কিন্তু আসন্ন চন্দ্রযান ৪ চাঁদের মাটি থেকে সংগ্রহ করা নমুনা যাতে পৌঁছে দিতে পারে তার জন্য এর পৃথিবীতে ফিরে আসা প্রয়োজন।
২. ডকিং ক্ষমতা: সফলভাবে মিশন পরিচালনার জন্য হয় পৃথিবীর অথবা চাঁদের কক্ষপথে রকেটের ডকিং ক্ষমতা থাকা একান্ত প্রয়োজন। কারণ কোনোভাবে ব্যর্থ হলে, পুরো মিশন ভেস্তে যেতে পারে।
৩. রোবোটিক ড্রিলিং এবং নমুনা হ্যান্ডলিং: এস সোমানাথ, ড্রিল পরিচালনা করতে, নমুনা নির্বাচন করতে এবং সেগুলিকে নিরাপদে বগিতে লোড করার জন্য রোবোটিক ক্ষমতার প্রয়োজনীয়তার উপর বিশেষ জোর দিয়েছেন। যার অন্যতম মূল লক্ষ্য হবে মডিউলগুলির মধ্যে নমুনা স্থানান্তর করা।
চন্দ্রযান ৪ মিশনের কাজ কতদূর অগ্রসর হয়েছে?
এস সোমনাথ তাদের পরবর্তী চন্দ্র অভিযান মিশনের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কেও আপডেট প্রদান করেছেন। তার মন্তব্য অনুযায়ী, বিজ্ঞানীরা চাঁদ থেকে বিভিন্ন ধরণের নমুনা সংগ্রহ করতে এবং বিস্তারিত গবেষণার জন্য সেগুলিকে পৃথিবীতে ফেরত নিয়ে আসার প্রক্রিয়া সফলভাবে সম্পন্ন করতে একটি ধারণা তৈরি করছেন। রটেকের জটিল স্থাপত্য এবং মিশনটি সফলতার সাথে পরিচালনার জন্য উভয় রকেট এবং স্যাটেলাইট বিশেষজ্ঞদের জ্ঞান ও দক্ষতা কাজে লাগানো হচ্ছে। ISRO প্রধান আরো জানিয়েছেন যে, ২০২৭ সালের মধ্যে চন্দ্রযান ৪ মিশনের কাজ সম্পন্ন করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত চন্দ্রযান ৩ -এর থেকে চন্দ্রযান ৪ মিশন আলাদা হওয়ার কয়েকটি কারণও তুলে ধরা হয়েছে। যেমন এবার - PSLV ও LVM3 -এর মত লঞ্চ ভেহিকল অপশন এবং পাঁচটি মহাকাশযান মডিউল যেমন - রি-এন্ট্রি মডিউল (RM), ট্রান্সফার মডিউল (TM), অ্যাসেন্ডার মডিউল (AM), ডিসেন্ডার মডিউল (DM), প্রপালশন মডিউল (PM) অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে কনসেপ্ট প্ল্যানে। যেখানে কিনা পূর্ববর্তী মিশনে শুধুমাত্র - ল্যান্ডার মডিউল, রোভার এবং প্রপালশন মডিউল সামিল ছিল।