মঙ্গলে প্রাণের অস্তিত্ব খুঁজে পেল নাসা? জৈব অনুর অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়ার পর জোর চর্চা
মঙ্গল গ্রহে (Mars) জৈব পদার্থের সন্ধান পেল মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা (NASA)। তাঁদের পাঠানো 'রোভার' (Rover) মঙ্গল...মঙ্গল গ্রহে (Mars) জৈব পদার্থের সন্ধান পেল মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা (NASA)। তাঁদের পাঠানো 'রোভার' (Rover) মঙ্গল গ্রহের পাথরে বিভিন্ন ধরনের জৈব অনুর অস্তিত্বের সন্ধান পেয়েছে। আর এই অনুগুলি এমন অঞ্চলে পাওয়া গেছে, যেখানে আগে হ্রদ ছিল। তাই এই তথ্য লাল গ্রহে প্রাণের অস্তিত্বকে আরও জোরদার করেছে বলেই মনে করছেন মহাকাশ গবেষকরা।
তবে অনেকেই বলছেন যে, এই ধরনের অনুর উপস্থিতি মঙ্গল গ্রহে প্রাণের অস্তিত্বের প্রমাণ দেয় না। ক্যালিফোর্নিয়ার নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরির জ্যোতির্বিজ্ঞানী সুনন্দা শর্মার নেচার পত্রিকায় প্রকাশিত প্রবন্ধ অনুযায়ী, জৈব বিদ্যা হল জীবনের আণবিক বিল্ডিং ব্লক। তবে এটি সরাসরি জীবনের সাথে সম্পর্কিত নয়। এটি বিভিন্ন ভূতাত্ত্বিক প্রক্রিয়াগুলি থেকেও গঠিত হতে পারে। যেমন আমরা একাধিক সংকেত দেখতে পাই, যা ক্রেটার ফ্লোর এবং খনিজ গুলিতেও যুক্ত থাকে।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে পারসেভারেন্স রোভার, মঙ্গল গ্রহের জেজিরো ক্রেটারে অবতরণ করেছিল। এটি গ্রহের উত্তরমেরুর এমন একটি এলাকা, যেখানে একাধিকবার জলে প্লাবিত হয়েছিল এবং সেখানে একটি প্রাচীন অববাহিকাও ছিল।
বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরে সন্দেহ করেছিলেন যে, জেজিরো ক্রেটারে এক সময় জীবের বসবাস ছিল। তারা বিশ্বাস করেন যে, নদীর চ্যানেলগুলি গর্তের প্রাচীরের উপর ছড়িয়ে পড়ে এবং ৩.৫ মিলিয়ন বছর আগে একটি লেক তৈরি করে।
কীভাবে বিজ্ঞানীরা জৈব অনু খুঁজে পেয়েছেন?
মঙ্গলে জৈব অনুর প্রমাণ পাওয়া গেছে SHERLOC নামক একটি যন্ত্র থেকে, যেটি ছয় চাকার বিশিষ্ট রোভারের রোবোটিক আর্মে অবস্থিত। এটি ক্যামেরা, একটি লেজার এবং স্পেকট্রোমিটার নামক যন্ত্র ব্যবহার করে জৈব অণুর বিশ্লেষণের পাশাপাশি সঠিক ম্যাপ অনুসন্ধানে সক্ষম।