Neuralink: মানুষের মস্তিষ্কে লাগানো থাকবে কম্পিউটার চিপ, সবুজ সংকেত পেল ইলন মাস্কের সংস্থা
ব্রিটেনের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অথরিটি (FDA) সম্প্রতি Neuralink-কে মানুষের মস্তিষ্কে বিশেষ ধরনের চিপ বসিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা...ব্রিটেনের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অথরিটি (FDA) সম্প্রতি Neuralink-কে মানুষের মস্তিষ্কে বিশেষ ধরনের চিপ বসিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার অনুমতি দিয়েছে। BBC আজ তাদের একটি প্রতিবেদনের মাধ্যমে এই তথ্য সামনে আনে। এই বিষয়ে নিউরালিংক টুইট করে জানায়, "আমরা এটা জানাতে পেরে আনন্দিত যে, আমাদের প্রতিষ্ঠান প্রথমবারের মতো মানুষের মস্তিষ্কে চিপ স্থাপনের বিষয়ে পরীক্ষা চালানোর অনুমতি পেয়েছে।" প্রসঙ্গত, ধনকুবের ইলন মাস্কের (Elon Musk) সংস্থা নিউরালিংক দীর্ঘদিন ধরে মানব মস্তিষ্কে প্রতিস্থাপনের জন্য একটি স্মার্ট কম্পিউটার চিপ নিয়ে কাজ করছে।
মানব মস্তিষ্কে মাইক্রো চিপ লাগানোর উদ্দেশ্য
নিউরালিংক জানিয়েছে, নিউরালিংক ইমপ্লান্ট সংস্থা কম্পিউটারের সঙ্গে মস্তিষ্ককে সংযুক্ত করে প্যারালাইসিসের চিকিৎসা ও বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের কম্পিউটার ও মোবাইল প্রযুক্তি ব্যবহার করতে সহায়তা করার জন্য মাইক্রোচিপ ব্যবহার করা হবে। এছাড়াও, কোনো কারণে স্নায়ুতন্ত্রের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে গেলে এই চিপ আবার আগের অবস্থায় ফিরে যেতে সাহায্য করবে।
সম্পূর্ণ সচেতনতা অবলম্বন করে মস্তিষ্কে চিপ প্রতিস্থাপনের কাজ শুরু করবে Neuralink
মানব মস্তিষ্ককে কম্পিউটারের সঙ্গে সংযুক্ত করাই হলো নিউরালিংকের এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য। আর এই প্রতিস্থাপনের পর কম্পিউটারের ইনপুট ডিভাইসে হাত না দিয়ে সরাসরি মস্তিষ্ক থেকেই ইনপুট দেওয়া যাবে বলে মনে করছে সংস্থাটি। উল্লেখ্য, নিউরালিংক চিপের প্রোটোটাইপটি একটি কয়েনের আকারের, যেটিকে এখনো পর্যন্ত শুধু মাত্র পশুদের মস্তিষ্কে প্রতিস্থাপন করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। এদিকে, মানব মস্তিষ্কে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল কবে থেকে শুরু হবে সেটি সম্পর্কে সঠিক ভাবে না জানালেও, শীঘ্রই কাজ শুরু করবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
Neuralink-এর ট্রায়ালের সময় মৃত্যু হয়েছে একাধিক প্রাণীর
কিছুদিন আগে নিউরালিংক একটি ভিডিও শেয়ার করে, যেখানে মস্তিষ্কে চিপ প্রতিস্থাপন করার পর একটি বানরকে ভিডিও গেম খেলতে দেখা যায়। তবে আরেকটি একটি রিপোর্টে যখন জানা যায় নিউরালিংকের এই চিপ প্রতিস্থাপনের কারণে ২০১৮ সাল থেকে এখনো পর্যন্ত প্রায় ১৫০০ প্রাণীর মৃত্যু ঘটেছে। এমতাবস্থায় মানুষের উপর এমন পরীক্ষা-নিরীক্ষা নিরাপদ হবে কিনা সেটা সময়ই বলবে।