মদ খেয়ে চালানো যাবেনা বাইক, বড়দের সুপথে আনতে বিশেষ হেলমেট বানালো শিশুরা

মদ্যপান করে গাড়ি চালানোর (Drink And Drive) খবর প্রায়ই শোনা যায়; অনেক সময় এই গর্হিত কাজের সাথে নাম জড়িয়ে যায় তারকা বা সেলিব্রিটিদেরও। এমনকি মদ খেয়ে গাড়ি চালানোর ফলে মাঝেমধ্যেই ঘটে যায় বিপজ্জনক দুর্ঘটনা, যাতে অনেক মানুষ প্রাণ হারান। সেক্ষেত্রে মদ্যপান করে ঢুলু ঢুলু চোখে গাড়ি চালানো এবং এই জাতীয় দুর্ঘটনা এড়াতে সরকার বা পুলিশ প্রশাসন দীর্ঘসময় ধরে নানা পদক্ষেপ নিয়ে আসছে, কিন্তু তাতেও খুব যে পরিস্থিতি পাল্টেছে তা নয়। তবে বড়দের এই দায়িত্ব-জ্ঞানহীন আচরণ ঠেকানোর জন্য সম্প্রতি রাঁচির স্কুলের শিশুরা একটি বিশেষ কাজ করেছে, যাতে মদ্যপান করে বাইক চালানোর মত ঘটনা সম্ভবত কমতে পারে। হ্যাঁ ঠিকই বলছি! আসলে রাঁচির সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুলের চারটি শিশু এমন একটি হেলমেট তৈরি করেছে, যার সাথে একটি চিপ বা সেন্সর সংযুক্ত থাকবে। আর এই হেলমেটের প্রোটোটাইপটি বাস্তব জীবনে বিকশিত হলে ড্রিংক অ্যান্ড ড্রাইভের ঘটনা অনেকটাই বন্ধ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

কীভাবে কাজ করবে এই বিশেষ হেলমেট?

বলে রাখি, এই প্রোটোটাইপটি তৈরি করেছে অভিরাজ সিং, ভাতসাল সারাওগি, পার্থ এবং আরভ পোদ্দার। আর, ষষ্ঠ শ্রেণির শিশুদের তৈরি এই হেলমেটে এমন একটি চিপ রয়েছে, যা বাইক আরোহী নেশাগ্রস্ত থাকলে সতর্কতা পাঠাবে। আর হেলমেটের এই সতর্কতার কারণে বাইক স্টার্ট হবে না। সোজা কথায় বললে হেলমেটে থাকা চিপ শুধু অ্যালকোহলের গন্ধই শনাক্ত করবেনা, তার সাথে বাইকটির ইঞ্জিন স্টার্ট হওয়া থেকেও আটকাবে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল যে, এই শিশুরা এমন আরেকটি চিপ তৈরি করতে চায়, যার কারণে হেলমেট ছাড়া বাইক স্টার্ট হবে না।

মদ্যপান করে গাড়ি চালানোর ঘটনায় প্রতি বছরই হাজার হাজার মানুষ মারা যান

সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুলের ভাইস প্রিন্সিপাল ও শিক্ষিকা এই বিষয়ে জানিয়েছেন যে, উক্ত অনন্য হেলমেটের পরিকল্পনাটি শিশুরা নিজেই তৈরি করেছে। তিনি কেবল তাদের পথ দেখিয়েছেন। তাঁর মতে, শিশুরা গুণী – তাদের শুধু সঠিক নির্দেশনা দরকার। তাছাড়া বর্তমানে শিশুদের ব্যবহারিক পদ্ধতির দিকে বিশেষ মনোযোগ দেওয়া উচিত বলেও তিনি জানিয়েছেন।

অন্যদিকে ট্রাফিক সিকিউরিটি সংক্রান্ত কাজের জন্য পরিচিত ঋষভ আনন্দ বলেছেন যে, প্রতি বছর ঝাড়খণ্ডে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রায় ৩,৫০০ জন মানুষ মারা যায়। এক্ষেত্রে বেশির ভাগ মৃত্যুই ঘটে বেশি স্পিডে গাড়ি চালানোর কারণে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের শিশুরা যে হেলমেট তৈরি করেছে, তা সিস্টেমে ব্যবহৃত হলে অনেকটাই দুর্ঘটনা কমবে বলে আশাবাদী ঋষভ।