একটি নয়! ডাইনোসরদের বিলুপ্তির কারণ একের বেশি গ্রহাণু
পৃথিবী থেকে ডাইনোসরদের বিলুপ্তি নিয়ে নানা মত আছে। গ্রহাণুর কারণে ডাইনোসরদের বিলুপ্তি হয়েছে বলে অনেকে মনে করেন। তবে...পৃথিবী থেকে ডাইনোসরদের বিলুপ্তি নিয়ে নানা মত আছে। গ্রহাণুর কারণে ডাইনোসরদের বিলুপ্তি হয়েছে বলে অনেকে মনে করেন। তবে সম্প্রতি বৈজ্ঞানিকরা জানিয়েছেন যে, একটি নয় দুটি গ্রহাণু ডাইনোসরদের বিলুপ্তির পথে ঠেলে দিয়েছিল। তাদের এমন দাবির কারণ, কমিউনিকেশন্স আর্ট অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টে প্রকাশিত একটি নতুন সমীক্ষা। যেখানে নিশ্চিত করা হয়েছে যে, আফ্রিকার উপকূলে ৮.৫ কিমি বিস্তৃত গর্তটিও ৬৬ মিলিয়ন বছর আগে একটি গ্রহাণুর প্রভাবেই তৈরি হয়েছিল। যেটি মেক্সিকোর ইউকাটান উপদ্বীপের চিক সুলুব ক্রাটারের সমবয়সী।
আধুনিক তত্ত্ব অনুযায়ী, ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার চওড়া একটি গ্রহাণু ৬৬ মিলিয়ন বছর আগে ইউকাটান উপদ্বীপে আঘাত করেছিল এবং সমস্ত পৃথিবীতে স্থিত ৭৫ শতাংশ প্রাণ নিশ্চিহ্ন করেছিল। যার ফলে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ডাইনোসরেরা।
বৈজ্ঞানিকরা আরও বলেছে, এই গ্রহাণুর কারণে দীর্ঘদিন কয়েক কিলোমিটার উঁচু সুনামি ছাড়াও ধুলো-কাঁচ এবং সালফার বায়ুমন্ডলকে আবৃত করে রাখে। তাছাড়াও, এই ঘটনার প্রভাবে বহু বছর ধরে সূর্যের আলো পৃথিবীতে পৌঁছাতে পারেনি।
আর এই সংঘর্ষের ফলে সৃষ্ট দ্বিতীয় গর্তটির নাম নাদির ক্রাটার। যেটি পশ্চিম আফ্রিকার গিনি বিসাও উপকূলের গিনি মালভূমিতে ৪০০ মিটার গভীর গর্ত সৃষ্টি করে। আর ২০২২ সালে যখন এর পরীক্ষা শুরু হয়, তখন বিজ্ঞানীরা এটির সম্ভাব্য উৎসের তিনটি কারণ উল্লেখ করেন। যেগুলি হলো - সম্ভবত এটি চিকসুলুব গ্রহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পৃথিবীতে ভেঙ্গে পড়ে। অথবা গ্রহাণু বেল্ট থেকে অনেকগুলি গ্রহাণু পৃথিবীর সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। নাহলে দুটি দৈত্যকার শিলা একই সময়ে আমাদের পৃথিবীতে এসে আঘাত করে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, স্কটল্যান্ড-এর হ্যারিয়ট ওয়াট ইউনিভার্সিটির ভূবিজ্ঞানী উইশডিয়ান নিকোলসনের নেতৃত্বাধীন একটি দল জানিয়েছে যে, নাদির গ্রহাণুটি প্রতি ঘন্টায় প্রায় ৭২ হাজার কিলোমিটার বেগে পৃথিবীতে এসে ধাক্কা দেয়। যার ফলে জলস্তরের ৪০০ মিটার নিচে ভূমিধ্বস এবং সুনামি দেখা দেয়। তবে, দু'বছর আগে নিকোলসন বলেছিলেন যে, নাদির গর্তটির চেয়ে চিকসুলুবের গর্তটি পৃথিবীর উপর অনেক বেশি প্রভাব ফেলেছিল।একটি নয়! ডাইনোসরদের বিলুপ্তির কারণ একের বেশি গ্রহাণু