Black Hole: প্রথমবার দৈত্যাকার কৃষ্ণগহ্বরের সন্ধান পেলেন বিজ্ঞানীরা, সূর্যের থেকেও ৩০ বিলিয়ন গুণ ভারী
মহাকাশ নিয়ে তামাম দুনিয়ার কৌতুহল বা আকর্ষণ বহুদিনের – প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে মানুষ পৃথিবীর বাইরের বাস্তব নিয়ে...মহাকাশ নিয়ে তামাম দুনিয়ার কৌতুহল বা আকর্ষণ বহুদিনের – প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে মানুষ পৃথিবীর বাইরের বাস্তব নিয়ে নাড়া-ঘাঁটা করে চলেছে। ফলত ক্রমশ শক্তিশালী তথা বিকশিত হচ্ছে জ্যোতির্বিজ্ঞান। সেই চাঁদের মাটিতে পা রাখা দিয়ে যে যাত্রা শুরু হয়েছিল, এখন তা কৃত্রিম স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ, উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টেলিস্কোপের মাধ্যমে মহাশূন্যের এখানে-ওখানে উঁকি দেওয়ার মত নানা গবেষণায় পরিণত হয়েছে। আর ব্ল্যাক হোল (Black Hole) বা কৃষ্ণগহ্বর তো (আমজনতা এবং অবশ্যই জ্যোতির্বিজ্ঞানের কাছে) সবসময়ই অনন্ত বিস্ময়! সেক্ষেত্রে সম্প্রতি জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা সন্ধান পেয়েছেন এমন এক অতিকায় (যাকে বলে সুপারম্যাসিভ) ব্ল্যাক হোলের, যা আমাদের সূর্যের ভরের চেয়ে ৩০ বিলিয়ন গুণ ভারী বলে জানা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, ওই গবেষক দলের দাবি যে এটিই এখনও পর্যন্ত আবিষ্কৃত ব্রহ্মান্ডের সবচেয়ে বড় ব্ল্যাক হোল; এটির অবস্থান, পৃথিবী থেকে অনেকটাই দূরে।
৩ হাজার কোটি সূর্যের সমতুল্য এই নতুন কৃষ্ণগহ্বর
জানিয়ে রাখি, ইংল্যান্ডের ডারহাম ইউনিভার্সিটির একটি রিসার্চ টিম আলোচ্য ব্ল্যাক হোলটি খুঁজে পেয়েছেন। এই জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা রয়্যাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির মাসিক নোটিস জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে এটিকে 'এখন পর্যন্ত দেখা সবচেয়ে বড়' (biggest ever seen) অর্থাৎ অতি বৃহদায়তন ব্ল্যাক হোল বলে অভিহিত করেছেন। এদিকে উল্লিখিত গবেষণাপত্রের লেখক জেমস নাইটিঙ্গেল, বিবিসি রেডিও নিউক্যাসল (BBC Radio Newcastle)-কে বলেছেন যে, তিনি এখনও এই ব্ল্যাক হোলের ম্যাগনিটিউড বোঝার চেষ্টা করছেন। তাঁর মতে এই আবিষ্কার খুবই গুরুত্বপূর্ণ, আর এই ধরণের ব্ল্যাক হোল অত্যন্ত প্রাচীন, সম্ভবত এগুলি ব্রহ্মান্ড সৃষ্টির কিছু পরপরই উদ্ভূত হয়েছে।
উল্লেখ্য, গ্র্যাভিটেশনাল লেন্সিং নামের একটি নতুন টেকনিকের সাহায্যে এই বিশাল ব্ল্যাক হোল শনাক্ত হয়েছে। এটি নাকি আমাদের সৌরজগতের চেয়ে বহু দূরে অবস্থিত J2333.9-2343 নামের এক ছায়াপথের কেন্দ্রে রয়েছে।
ব্ল্যাক হোল নিয়ে চলছে আরও গবেষণা
এই সাম্প্রতিক আবিষ্কারের পর অনেক গবেষকই দাবি করেছেন যে, যেকোনো বৃহদাকার ছায়াপথের কেন্দ্রেই এই ধরণের বিরাট কৃষ্ণগহ্বর থাকা স্বাভাবিক। তবে এটি জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের অন্যান্য ব্ল্যাক হোল আবিষ্কার করতে এবং তাদের আকার নির্ধারণ করতে উৎসাহিত করবে।