Free Fire-র বিরুদ্ধে PUBG Mobile-র গেম প্লে চুরির অভিযোগ আনল Krafton, ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিল Garena

ফ্যানবেস ছাড়িয়ে Garena Free Fire এবং PUBG Mobile গেমের দ্বৈরথ এবার তাদের প্রস্তুতকারক মহলেও ঢুকে পড়লো। সেক্ষেত্রে নিছক সাধারণ বিবাদের বদলে এই রেষারেষি আইনি লড়াইয়ের দিকে মোড় নিয়েছে। আর এর জেরেই সম্প্রতি মামলার মুখে পড়েছে Free Fire গেমের প্রস্তুতকারক সংস্থা গ্যারেনা (Garena)। উপযুক্ত লাইসেন্স ফি না দিয়েই তাদের বিরুদ্ধে PUBG Mobile -এর গেম প্লে চুরি করার অভিযোগ উঠেছে! শুধু এটুকুই নয়, Free Fire এর মতো গেমিং অ্যাপ্লিকেশনের প্রসার ও প্রচারের জন্য Apple ও Google -এর মালিকানাধীন Youtube -এর বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা হয়েছে। আর উক্ত প্রতিটি ক্ষেত্রে মামলাকারী আর কেউ নয় বরং PUBG Mobile গেম প্রস্তুতকারী সংস্থা ক্রাফ্টন (Krafton)।

Krafton বনাম Garena – বিরোধের কারণ

আইনি মামলা দায়েরের সময় ক্রাফ্টন মূলত গ্যারেনা নির্মিত দুটি ফ্রি ফায়ার সংস্করণের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছে। উভয় ক্ষেত্রেই গ্যারেনা, প্লেয়ার্স ব্যাটলগ্রাউন্ড মোবাইলের গেম-প্লে চুরি করেছে বলে ক্রাফ্টনের বক্তব্য। এদের মধ্যে একটি ২০১৭ সালে প্রথম প্রকাশ্যে আসা Garena Free Fire Title এবং অপরটি Free Fire Max, যা গতবছর সেপ্টেম্বর মাসে সামনে আসে।

ক্রাফ্টনের দাবী সামান্য একটি নয় বরং উপরোক্ত ফ্রি ফায়ার গেম দুটির একাধিক ক্ষেত্রে গ্যারেনা, পাবজি মোবাইলের ভঙ্গী ও অনুভব নকল করেছে। বিশেষ করে ব্যাটলগ্রাউন্ডের কপিরাইটভুক্ত ইউনিক গেম ওপেনিং ‘এয়ার ড্রপ’ ফিচার, বিভিন্ন ওয়েপন, আর্মর এবং লোকেশন নির্বাচন সহ কালার স্কীম ও অন্যান্য নানা পরিসরে গেম-প্লে চুরির বিষয়টি পুরোপুরি প্রত্যক্ষ বলে ক্রাফ্টনের অভিযোগ।

নিজেদের বিবৃতিতে ক্রাফ্টন আরো জানিয়েছে যে, পাবজি মোবাইলের গেম-প্লে নকল করে তৈরী গেমিং অ্যাপ্লিকেশনগুলি থেকে ইন-অ্যাপ পারচেজ মারফত গ্যারেনা কোটি কোটি টাকা কামাচ্ছে। তাছাড়া অভিযুক্ত অ্যাপ্লিকেশনটিকে নিজস্ব অ্যাপ স্টোরে ঠাঁই দিয়ে কমিশন হিসেবে গুগল ও অ্যাপলের প্রাপ্ত মুনাফার পরিমাণও নেহাত কম নয়! তাই শেষোক্ত সংস্থাদ্বয়ের বিরুদ্ধেও ক্রাফ্টন তাদের ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের আগে ক্রাফ্টন তাদের ফ্রি ফায়ারের আলোচ্য সংস্করণ দুটি প্রত্যাহারের অনুরোধ জানায়। এক্ষেত্রে গ্যারেনা পত্রপাঠ সেই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে। গুগল ও অ্যাপলের পক্ষ থেকেও প্রায় একই মনোভাব দেখানো হয়। এসবের পরেই ক্রাফ্টন আইনের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এদিকে প্রধান অভিযুক্ত গ্যারেনার কাছে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তারা ক্রাফ্টনের অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে।