Noise লঞ্চ করল অ্যামোলেড ডিসপ্লের নতুন ব্লুটুথ কলিং স্মার্টওয়াচ, দাম সাধ্যের মধ্যে

সপ্তাহ খানেক আগেই আমরা জানতে পেরেছিলাম যে, জনপ্রিয় অ্যাক্সেসরিজ নির্মাতা Noise, ভারতের বাজারে ColorFit Pro 4 Alpha নামে একটি নতুন স্মার্টওয়াচ নিয়ে আসতে চলেছে যা প্রিমিয়াম Apple Watch-এর মত ডায়াল বহন করবে। এছাড়াও এতে AMOLED ডিসপ্লে, ৭ দিনের ব্যাটারি লাইফ ইত্যাদি আকর্ষণীয় ফিচার মিলবে বলেও অনুমান করা হচ্ছিল। সেক্ষেত্রে Noise ColorFit Pro 4 Alpha-র তথ্য সামনে আসার অল্প সময়ের মধ্যেই এই আধুনিক ঘড়িটি কোম্পানির লেটেস্ট স্মার্টওয়াচ হিসেবে বাজারে পা রেখেছে। আর এতে অনুমেয় সমস্ত ফিচারের পাশাপাশি InstaCharge™ প্রযুক্তি, হেল্থ ট্র্যাকিং ফিচার, ওয়াটার রেসিট্যান্ট রেটিংয়ের মত কিছু আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্যও দিয়েছে Noise। মজার ব্যাপার হল যে, এই নতুন Noise ColorFit স্মার্টওয়াচ কিনতে আগ্রহীদের বেশি খরচও হবেনা। চলুন, এখন Noise ColorFit Pro 4 Alpha-র দাম, লভ্যতা এবং স্পেসিফিকেশন সংক্রান্ত তথ্য এক নজরে দেখে নিই…

Noise ColorFit Pro 4 Alpha-র দাম, লভ্যতা

নতুন নয়েজ কালারফিট প্রো ৪ আলফা স্মার্টওয়াচের দাম রাখা হয়েছে ৩,৭৯৯ টাকা। এটি অ্যামাজন ইন্ডিয়া (Amazon India) শপিং প্ল্যাটফর্ম এবং কোম্পানির অফিসিয়াল ওয়েবসাইট gonoise.com থেকে কেনা যাবে। উল্লেখ্য, ঘড়িটির ক্রেতারা এটি ব্ল্যাক, পিঙ্ক, ব্লু, ওয়াইন এবং টিল – মোট পাঁচটি রঙে খরিদ করতে পারবেন।

Noise ColorFit Pro 4 Alpha-র স্পেসিফিকেশন

জল্পনা মতই নয়েজ কালারফিট প্রো ৪ আলফা স্মার্টওয়াচ ১.৭৮ ইঞ্চি অ্যামোলেড ডিসপ্লের সাথে এসেছে যাতে ২.৫ডি কার্ভড গ্লাস থাকবে। এক্ষেত্রে এটি বহন করবে অ্যাপল ওয়াচের মত আয়তক্ষেত্রাকার ডায়াল এবং প্রিমিয়াম অ্যালুমিনিয়াম বডি। অন্যদিকে এই নতুন স্মার্টওয়াচে দেওয়া হয়েছে ইনস্টাচার্জ প্রযুক্তি, যার ফলে এটি ৩০ মিনিটে ৫০% চার্জ হয়ে যাবে এবং একবার চার্জে এতে ৭ দিন অর্থাৎ পুরো এক সপ্তাহের ব্যাটারি লাইফ মিলবে। এছাড়াও এতে দেখা যাবে ১৫০টির বেশি ক্লাউড ওয়াচ ফেস, স্মার্ট টাচ কন্ট্রোল ফিচার, ক্রাউন বাটন, ট্রু সিঙ্ক (Tru Sync™) প্রযুক্তি ইত্যাদি বৈশিষ্ট্য।

এখানেই শেষ নয়, নয়েজ কালারফিট প্রো ৪ আলফায় জল এবং ধুলো প্রতিরোধের জন্য রয়েছে আইপি৬৮ রেটিং। আবার এতে ব্লুটুথ ৫.৩ কানেক্টিভিটি, ইনবিল্ট স্পিকার এবং মাইক্রোফোন থাকায় এটির মাধ্যমে ব্লুটুথ কলিং করা যাবে। তাছাড়াও এর হার্ট রেট ট্র্যাক, অ্যাক্টিভিটি লেভেল মনিটর, SpO2 সেন্সর, স্লিপ মনিটর, স্ট্রেস মেজারমেন্ট, ব্রীথ প্র্যাক্টিসের মত ফিচারকে কাজে লাগিয়ে ইউজাররা নিজেদের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখতে পারবেন।