‘ও পায়রার মত সবসময় লাফায়’, পাকিস্তানের রিজওয়ানকে সরাসরি নিন্দা করলেন ভারতীয় আম্পায়ার অনিন চৌধুরী

ক্রিকেট মাঠে উইকেটরক্ষক সবচেয়ে বেশি আবেদন করেন, কিন্তু এর একটা সীমা আছে। উইকেটরক্ষক, যারা চিৎকার করে এবং অযথা প্রতিটি বলে অযৌক্তিক দাবি করে, তারা আম্পায়ারদের…

Anil Choudhary Slam Mohammad Rizwan For Constant Appeal In Cricket Field

ক্রিকেট মাঠে উইকেটরক্ষক সবচেয়ে বেশি আবেদন করেন, কিন্তু এর একটা সীমা আছে। উইকেটরক্ষক, যারা চিৎকার করে এবং অযথা প্রতিটি বলে অযৌক্তিক দাবি করে, তারা আম্পায়ারদের চোখে খারাপ হয়, যার ফল তাদের প্রায়শই ভোগ করতে হয়। পাকিস্তানের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ রিজওয়ানের ছবিটাও যেন সেরকমই হয়ে গেছে। এখন আম্পায়াররা তাকে সেভাবে গুরুত্ব দেয়না। আইসিসির বড় পদের আম্পায়ার অনিল চৌধুরী এই কথা বলেছেন। আসুন জেনে নেওয়া যাক মহম্মদ রিজওয়ান সম্পর্কে আর কী কী বললেন অনিল চৌধুরী।

ইউটিউব শো ‘টু স্লাগার্স’-এ হাজির হয়েছিলেন পঞ্চাশোর বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ভারতীয় আম্পায়ার অনিল চৌধুরি। তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে রিজওয়ান যে ম্যাচে খেলেছিলেন সেখানে তিনি কখনও আম্পায়ারিং করেছেন কিনা। যদিও তিনি তাৎক্ষণিকভাবে খেলোয়াড়কে চিনতে ব্যর্থ হন, তিনি এশিয়া কাপের একটি ম্যাচের কথা স্মরণ করেছিলেন যেখানে রিজওয়ান বারবার আবেদন করেছিলেন, যার পরে তিনি বলেছিলেন যে ম্যাচ চলাকালীন আবেদনের ভিত্তিতে আম্পায়াররা ভাল এবং খারাপ উইকেটকিপারের মধ্যে পার্থক্য করেন।

অনিল চৌধুরী আরও বলেন, ”যিনি লিপস্টিকের মতো কিছু লাগান ওই কি? উনি অনেক আবেদন করেন। সতীর্থ আম্পায়ারকেও সাবধানে থাকতে বলেছি। প্রতিটি বলের জন্য চিৎকার করে‌ আর পায়রার মতো লাফাতে থাকে। দেখুন, আসল কথা হল, একজন ভাল আম্পায়ার জানেন কে ভাল কিপার। আম্পায়ার ভালো হলে এই কিপাররা ক্ষতিগ্রস্ত। আর এত প্রযুক্তি এসেছে, নিজেকে অপমান করছেন কেন? আপনি যদি সোজা উল্টে যান তবে লোকেরা আপনাকে নিয়ে মজা করবে।”

ওদিকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে অপরাজিত ১৭১ রানের ইনিংস খেলেছেন রিজওয়ান। প্রথম ইনিংসে মোহাম্মদ রিজওয়ান ২৩৯ বলে তার ক্যারিয়ার সেরা অপরাজিত ১৭১ রান করেন এবং বাঁ-হাতি সহ-অধিনায়ক সৌদ শাকিল ২৬১ বলে ১৪১ রান করে লাল বলের ক্রিকেটে তার দুর্দান্ত ফর্ম অব্যাহত রাখেন। পাকিস্তান তাদের প্রথম ইনিংস ৪৪৮-৬ এ ঘোষণা করে। জবাবে ৫৬৫ রান করে ১১৭ রানের লিড নেয় বাংলাদেশ। পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ২৯ রানের লিড নিতে সক্ষম হয় এবং ৩০ রানের লক্ষ্য তাড়া করে বাংলাদেশ অনায়াসে ম্যাচ জিতে নেয়।