Kolkata Derby: কলকাতা ডার্বির শতবর্ষের লড়াইয়ে বাজিমাত ইস্টবেঙ্গলের, মোহনবাগানকে হারিয়ে অপরাজিত লাল-হলুদ

কলকাতা ফুটবল লিগে আজ ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। ময়দানের দুই প্রধান ঐতিহ্যবাহী ক্লাব মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গল এই লিগে ৫ বছর পর মুখোমুখি হয়। এছাড়াও এই…

কলকাতা ফুটবল লিগে আজ ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। ময়দানের দুই প্রধান ঐতিহ্যবাহী ক্লাব মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গল এই লিগে ৫ বছর পর মুখোমুখি হয়। এছাড়াও এই ম্যাচে ঘিরে ছিল কলকাতা ডার্বির একশো বছর পূর্তির বিশেষ আয়োজন। উল্লেখ্য ১৯২৫ সালের ২৮ মে ঘরোয়া লিগে প্রথমবার ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান মুখোমুখি হয়েছিল। ফলে ফুটবলার এবং কর্মকর্তাদের সঙ্গে সঙ্গে এই ম্যাচ ঘিরে সমর্থকদের উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মতো।

এই বছর কলকাতা ফুটবল লিগে ইস্টবেঙ্গল দুরন্ত শুরু করেছে। এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে তারা জর্জ টেলিগ্ৰাফকে ৩-১ গোলে পরাজিত করেছিল। তবে মোহনবাগান এই টুর্নামেন্টের প্রথম দুই ম্যাচেই ড্র করে পয়েন্ট তালিকায় অনেকটাই পিছিয়ে থেকে মাঠে নামে। অন্যদিকে আজ কলকাতার বিবেকানন্দ যুব ভারতী স্টেডিয়ামে প্রথম থেকেই লাল-হলুদ বাহিনী চাপ বাড়াতে থাকে। ম্যাচের ৩ মিনিটে ইস্টবেঙ্গলের তন্ময় দাস বক্সের মধ্যে একটি সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি গোল করতে সক্ষম হননি। এরপর মোহনবাগানের অন্যতম তারকা সুহেল ভাটও একাধিক সুযোগ তৈরি করার চেষ্টা করেন।

কিন্তু প্রথমার্ধে দুই দলই গোল করতে ব্যর্থ হয়। অন্যদিকে দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই ইস্টবেঙ্গল আক্রমণেরর চাপ বাড়াতে থাকে। শেষ পর্যন্ত ম্যাচের ৫০ মিনিটে পিভি বিষ্ণু লাল-হলুদের হয়ে গোলের মুখ খুলতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। তিনি সবুজ-মেরুন বক্সের মধ্যে বিপক্ষের দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে নিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন। এরপর ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলাররা প্রায় নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। ৬৫ মিনিটে মোহনবাগান বক্সের কাছে ডিফেন্ডারের ভুলে পা থেকে বল ছিনিয়ে নিয়ে লাল হলুদের আমন সিকে দুরন্ত ক্রস বাড়ান। সুযোগ সন্ধানী জেসিন টিকে বলটির কাছে পৌঁছে গিয়ে দলের হয়ে দ্বিতীয় গোলটি সম্পন্ন করেন।

এরপর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ম্যাচ টানটান উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে ওঠে। তবে এর মধ্যেই ৭৭ মিনিটে ইস্টবেঙ্গলের জোসেফ জাস্টিন দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠের বাইরে চলে যান। ফলে বাকি সময় লাল-হলুদলের ১০ জন ফুটবলারদের নিয়ে খেলা চালিয়ে যেতে হয়। কিন্তু এই সুযোগটাও মোহনবাগানরা সেইভাবে কাজেতে পারেনি। তবে ম্যাচের শেষ পর্যায়ে ৯০+৬ মিনিটে ইস্টবেঙ্গলের বক্সের বাইরে টাইসনের ভাসানো বলে সুহেল ভাট দুরন্ত হেড করে ম্যাচের স্কোরবোর্ড মোহনবাগানের হয়ে ১-২ করে দেন। এরপর সবুজ মেরুনদের কাছে সমতা ফেরানোর জন্য সময় খুবই কম ছিল। ফলে শেষ পর্যন্ত ঐতিহাসিক শতবর্ষের ডার্বিতে ইস্টবেঙ্গল ২-১ গোলে জয় তুলে নিয়ে ইতিহাসের পাতায় নাম লেখায়।