East Bengal: CFL এ অব্যাহত ইস্টবেঙ্গলের জয়ের ধারা, পুলিশ এফসিকে উড়িয়ে দিয়ে সিজনের চতুর্থ জয় লাল হলুদের
আজ কলকাতা ফুটবল লিগে ইস্টবেঙ্গল ঘরের মাঠে প্রথম থেকেই একের পর এক আক্রমণ তৈরি করে পুলিশ এসিদের চাপের মুখে ফেলে দেয়। বৃষ্টিস্নাত মাঠে ফুটবলারদের কিছুটা অসুবিধা হলেও ম্যাচের গতি স্লথ হয়নি।
এই বছর কলকাতা ফুটবল লিগে এখন প্রতিটি দলই নিজেদের অনেকটাই গুছিয়ে নিয়েছে। টুর্নামেন্টের অন্যতম দল ইস্টবেঙ্গল একের পর এক জয় দিয়ে তারা যাত্রা শুরু করে। এমনকি লাল-হলুদরা এই মরসুমের প্রথম ডার্বিতে মোহনবাগানকে ২-১ গোলে হারিয়ে অনেকটাই আত্মবিশ্বাস খুঁজে পায়। কিন্তু শেষ ম্যাচে তারা কলকাতা কাস্টমসের বিপক্ষে ড্র করে রীতিমতো হতাশ করে। ফলে আজ কলকাতা ফুটবল লিগে ইস্টবেঙ্গল পুলিশ অ্যাথেলেটিক ক্লাবের বিপক্ষে আরও একটি জয় তুলে নেওয়ার জন্য মাঠে নামে।
ম্যাচে লাল-হলুদরা ঘরের মাঠে প্রথম থেকেই একের পর এক আক্রমণ তৈরি করে বিপক্ষদের চাপের মুখে ফেলে দেয়। বৃষ্টিস্নাত মাঠে ফুটবলারদের কিছুটা অসুবিধা হলেও ম্যাচের গতি স্লথ হয়নি। মাত্র ১৭ মিনিটে সায়ান ব্যানার্জি সতীর্থের বাড়ানোর সূক্ষ্ম পাস কাজে লাগিয়ে বিপক্ষের পোস্টের বাম প্রান্তের কাছাকাছি থেকে ক্রস বাড়ান। এই বলটি পুলিশ অ্যাথেলেটিক ক্লাবের গোলকিপারের গায়ে লেগে শেষ পর্যন্ত জালে জড়িয়ে যায়। ফলে এই গোলের সঙ্গে ইস্টবেঙ্গল ১-০ গোলে এগিয়ে গিয়ে ম্যাচে চাপ সৃষ্টি করে।
এর ফলে ৪২ মিনিটে তন্ময়ের বাড়ানো দুরন্ত পাসে বিষ্ণু আরও একটি সহজ সুযোগ পেয়ে যান। তিনি দুরন্ত গোল করে প্রথমার্ধে ইস্টবেঙ্গকে ২-০ গোলে এগিয়ে রাখেন। এরপর রোদ-বৃষ্টির মধ্যে দ্বিতীয়ার্ধে লাল-হলুদরা ঘরের মাঠে আরও ভয়ংকর হয়ে ওঠে। ফলে পুলিশ এসির ফুটবলাররা ম্যাচে এক সময় ছন্দ হারিয়ে ফেলেন। এই সুযোগে ৬৪ মিনিটে শ্যামল বেসরা অসাধারণ গোল করে দলকে ৩-০ গোলে এগিয়ে দেন। এর সঙ্গেই পুলিশ এসি ম্যাচের ফিরে আসার হাল প্রায় ছেড়ে দেয়।
এরপর ইস্টবেঙ্গলের হয়ে সুযোগসন্ধানী জেসিন টিকেকে জ্বলে উঠতে দেখা যায়। তিনি ৬৭ এবং ৭২ মিনিটে পরপর গোল করে দলের স্কোরবোর্ড ৫-০ করে দেন। শেষে ৮৩ মিনিটে গোল করে আমন সিকে বিপক্ষদের মুখ বন্ধ করে দেন। ফলে শেষ পর্যন্ত ইস্টবেঙ্গল পুলিশ এসির বিপক্ষে ৬-০ গোলে বিশাল ব্যবধানে জয় তুলে নিয়ে এই বছর কলকাতা ফুটবল লিগে ভবানীপুরকে টপকে গ্ৰুপ বি-এর শীর্ষে পৌঁছে গেল।
আজ কলকাতা ফুটবল লিগে ইস্টবেঙ্গল ঘরের মাঠে প্রথম থেকেই একের পর এক আক্রমণ তৈরি করে পুলিশ এসিদের চাপের মুখে ফেলে দেয়। বৃষ্টিস্নাত মাঠে ফুটবলারদের কিছুটা অসুবিধা হলেও ম্যাচের গতি স্লথ হয়নি।