একদিকে গোল্ডেন বয় জামালের জৌলুস তো অন্যদিকে গোট মেসি, কোপার সেমিতে আর্জেন্টিনা তো ইউরোতে স্পেন

ইউরোপ এবং আমেরিকা মহাদেশের দেশগুলি আধুনিক ফুটবলকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। আজ ইউরোপের অন্যতম ফুটবল লিগ উয়েফা ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ এবং আমেরিকার অন্যতম ফুটবল টুর্নামেন্ট…

ইউরোপ এবং আমেরিকা মহাদেশের দেশগুলি আধুনিক ফুটবলকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। আজ ইউরোপের অন্যতম ফুটবল লিগ উয়েফা ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ এবং আমেরিকার অন্যতম ফুটবল টুর্নামেন্ট কোপা আমেরিকার চলমান মহারণের প্রথম সেমিফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই দুই হাইভোল্টেজ ম্যাচ নিয়ে ফুটবল বিশ্বে উন্মাদনা সৃষ্টি হয়েছিল। ইউরো কাপের প্রথম সেমিফাইনাল স্পেন ফ্রান্সের বিপক্ষে মাঠে নামে।‌ অন্যদিকে কোপা আমেরিকায় প্রথম সেমিফাইনালে কানাডার মুখোমুখি হয়েছিল আর্জেন্টিনা।

ইউরোপীয় ফুটবলের দুই শক্তিশালী দেশ স্পেন বনাম ফ্রান্স ম্যাচে প্রথম থেকেই দুই দল চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। এর মধ্যেই ম্যাচের মাত্র ৮ মিনিটের মাথায় ফ্রান্স গোলের দরজা খুলে দেয়। দুরন্ত হেড করে কোলো মুয়ানি ম্যাচে স্কোরবোর্ডে ১-০ করে দেন। তবে ম্যাচের উত্তেজনায় এই ফলাফল বেশিক্ষণ স্থায়ী থাকেনি। স্পেন প্রমাণ দেয় তারা বিশ্ব ফুটবলে নিজেদের পুরনো ঐতিহ্য ফিরে পেতে আরও মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাদের তরুণ সৈন্য বাহিনীর বিস্ময় বালক লামিন ইয়ামল রীতিমতো জ্বলে ওঠেন। ম্যাচের ২১ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে করা তার অবিশ্বাস্য শট বার পোস্টের কোণায় লেগে বিপক্ষদের জালে জড়িয়ে যায়।

এর সঙ্গেই মাত্র ১৬ বছর বয়সে লামিন ইয়ামল ইউরো কাপের সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার হিসাবে গোল রেকর্ডবুকে নিজের নাম লেখান। এরপর ম্যাচের ২৫ মিনিটে দানি ওলমো স্পেনের হয়ে ফ্রান্সের ডিফেন্সের ভুলে দুরন্ত গোল করে দলকে ২-১ গোলে এগিয়ে দেন। বাকি সময় ম্যাচে আর ফ্রান্স ফিরে আসতে পারেনি। ফলে ইউরো কাপে এই বছর কিলিয়ান এমবাপ্পের যাত্রা এখানেই শেষ হয়। অন্যদিকে স্পেন ইউরো কাপের ইতিহাসে আরও একবার ফাইনালে নিজেদের জায়গা করে নিয়ে ইতিহাস তৈরি করল।

অন্যদিকে কোপা আমেরিকায় আর্জেন্টিনার জয়যাত্রা অব্যাহত রাখতে আজ লিওনেল মেসি কানাডার বিপক্ষে সেমিফাইনালে মাঠে নামে। পরিসংখ্যানের দিক থেকে বিপক্ষ দল দুর্বল হলেও ম্যাচে কানাডা নিজেদের প্রভাব বজায় রাখার জন্য সবরকম চেষ্টা চালায়। তবে আর্জেন্টিনা একের পর এক আক্রমণ তৈরি করে বিপক্ষদের শেষ পর্যন্ত কোনঠাসা করে দেয়। ম্যাচের ২২ মিনিটে আর্জেন্টাইন তারকা আলভারেজ বক্সের মধ্যে সহজ বল পায়ে পেয়ে যাওয়ায় সুবর্ণ সুযোগ আর নষ্ট করেননি। দলকে প্রথমার্ধেই ১-০ গোলে এগিয়ে দেন।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেও আর্জেন্টিনা চাপ বাড়াতে থাকে। তবে বিশ্বের কোটি কোটি ভক্ত ফুটবলের ভগবান মেসির পা থেকে সেমিফাইনালে অন্তত একটি গোল দেখার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। শেষ পর্যন্ত কথা রাখলেন এলএন টেন। ম্যাচের ৫১ মিনিটে ফার্নান্দেজের বাড়ানো নিখুঁত পাসে বক্সের মধ্যে থেকে বুলেটের গতিতে মেসি বিপক্ষের জালে বল জড়িয়ে দিয়ে ম্যাচের স্কোরবোর্ড ২-০ করে দেন। এই স্মরণীয় গোলের হাত ধরেই ২০২৪ কোপা আমেরিকার ফাইনালে পা রাখলো বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। ফলে এখন আরও একটা কোপা আমেরিকা জয়ের জন্য স্বপ্ন দেখছেন আর্জেন্টাইন ভক্তরা।