James Anderson: ৭০৪ তে শেষ হল অ্যান্ডারসনের ক্যারিয়ার, চোখে জল নিয়ে জীবনের শেষ ম‌্যাচ খেলে ফেললেন ইংলিশ তারকা

বয়সের সঙ্গে সঙ্গে প্রতি ক্রিকেটারকেই এক সময় অবসর নিতে হয়। তবে এই দীর্ঘ ক্রিকেট জীবনকে বিদায় জানানো যেকোনো খেলোয়াড়ের কাছেই কঠিন বিষয়। এবার ইংল্যান্ড বনাম…

বয়সের সঙ্গে সঙ্গে প্রতি ক্রিকেটারকেই এক সময় অবসর নিতে হয়। তবে এই দীর্ঘ ক্রিকেট জীবনকে বিদায় জানানো যেকোনো খেলোয়াড়ের কাছেই কঠিন বিষয়। এবার ইংল্যান্ড বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যে চলা প্রথম টেস্ট ম্যাচের পরেই বিশ্বের অন্যতম সফল পেসার জেমস অ্যান্ডারসন অবসর নিলেন। তিনি এই সিধান্ত অনেক আগে থেকেই নিয়ে নেওয়ায় এই ম্যাচে অ্যান্ডারসনকে সন্মান জানানোর জন্য ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড সবরকম প্রস্তুতি নিয়েছিল।

বেশিরভাগ সময় একাধিক কিংবদন্তি ব্যাটসম্যানদের নিয়ে আলোচনা করা হলেও বিশ্ব আধুনিক ক্রিকেটকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তারকা বলারদেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তবে বোলারদের ক্ষেত্রে আবার টেস্ট ক্রিকেটে বিশেষ করে স্পিনারদের দাপট লক্ষ্য করা যায়। এর মধ্যেও পেসার হিসাবে জেমস অ্যান্ডারসন টেস্ট ক্রিকেটে ধারাবাহিকভাবে সফলতার সঙ্গে পারফরম্যান্স করে নিজের জায়গা তৈরি করেছিলেন। এমনকি ৪১ বছর বয়সেও সমান তালে বল হাতে তিনি ক্রিকেট প্রেমীদের মধ্যে উন্মাদনা সৃষ্টি করেন।

কিন্তু কোথাও গিয়ে থামতেই হয়। নতুন প্রজন্মকে সুযোগ দেওয়ার জন্য জেমস অ্যান্ডারসন অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ১০ জুলাই থেকে ঐতিহাসিক লর্ডসে শুরু হওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ বনাম ইংল্যান্ডের টেস্ট ম্যাচটিই ছিল তার জীবনের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ। ম্যাচে ইংলিশ বাহিনী প্রথমে টসে জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডের হয়ে বোলিং আক্রমণ ক্যারিবিয়ানদের মাত্র ১২১ রানে অল আউট করে দেয়। অ্যান্ডারসন এই ইনিংসে ১০.৪ ওভারে ৩ টি মেডেনের সঙ্গে ২৬ রান দিয়ে ১টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নেন। দ্বিতীয় ইনিংসে এই কিংবদন্তি পেসার জীবনের শেষ ম্যাচে আরও বিধ্বংসী হয়ে ওঠেন।

তিনি ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৬ ওভারে ৭ টি মেডেনের সঙ্গে ৩২ রান দিয়ে মোট ৩ টি উইকেট সংগ্রহ করেন। এর ফলে ইংলিশ বাহিনী শেষ পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১ ইনিংস এবং ১১৪ রানে বিশাল জয় তুলে নিয়েছে। অন্যদিকে আজ শেষবারের মতো ইংল্যান্ডের হয়ে মাঠের নামার সময় জেমস অ্যান্ডারসনকে দলের সকল সদস্যরা দাঁড়িয়ে গর্ড অফ অনার দেন। এর সঙ্গেই এই কিংবদন্তি ক্রিকেটার মোট ১৮৮ টি আন্তর্জাতিক টেস্ট ম্যাচে ৭০৪ টি উইকেট সংগ্রহ করে এই ফরম্যাটের তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রহকারী এবং পেসার হিসাবে সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রহকারী হিসাবে ক্রিকেট জীবন শেষ করলেন।