Juma Miyagi from slums to uganda team for ICC T20 World Cup 2024 heart touching story

T20 World Cup 2024: থাকেন বস্তিতে, খেলবেন এই বিশ্বকাপে, এক তরুণ ফাস্ট বোলারের অদম্য জেদের গল্প

উগান্ডার রাজধানী কাম্পালায় প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষ বস্তিতে বাস করে এবং ফাস্ট বোলার জুমা মিয়াগি (Juma Miyagi) তাদের জন্য অনুপ্রেরণা। ফুটবলপ্রেমীরা তাদের কারণে এখানে আবেগের সাথে ক্রিকেট দেখেন এবং আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে (T20 World Cup 2024) উগান্ডার ক্রিকেট দলের (Uganda Cricket Team) অভিষেক তাদের কাছে স্বপ্নের চেয়ে কম নয়। মিয়াগি কাম্পালার উপকণ্ঠে নাগুরু বস্তিতে বড় হয়েছেন।

দুই বছর উগান্ডার অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে খেলার পর এখন ১ জুন থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আমেরিকায় অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সিনিয়র দলের বোলিংয়ের দায়িত্ব নেবেন তিনি। গত বছরের নভেম্বরে প্রথমবারের মতো ক্রিকেট বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে উগান্ডা। এখন পর্যন্ত ২১ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৩৪ উইকেট নেওয়া মিয়াগি বস্তিতে বড় হয়েছেন এবং এখনও পরিবারের সাথে সেখানেই থাকেন।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের খেলোয়াড় সিমোন সেসাজি (Simon Ssesazi) এবং রিজার্ভ খেলোয়াড় ইনোসেন্ট এমভেবাজেও বস্তি থেকে উঠে এসেছেন। তাদের এলাকায় বিশুদ্ধ খাবার জয়, পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ছিল না।

তার কষ্টের গল্প উগান্ডার ভারতীয় কোচ অভয় শর্মাকেও বিচলিত করেছিল, যিনি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ইতিমধ্যে দলের সাথে যোগ দিয়েছেন। এমন নয় যে শর্মা কখনও বস্তি দেখেনি। তবে কাম্পালার বস্তিগুলি মুম্বাইয়ের ধারাভির থেকে আলাদা। খেলোয়াড়দের সঙ্গে সময় কাটানোর পর তার প্রতি শর্মার শ্রদ্ধা বহুগুণ বেড়ে যায়। ত্রিনিদাদ থেকে পিটিআইকে তিনি বলেন, ”আমি ভাবিনি তারা এমন পরিস্থিতিতে বাস করে। তাদের কোচদের প্রতি তাদের অনেক শ্রদ্ধা রয়েছে এবং তারা মনে করে আমরা তাদের জীবন পরিবর্তন করতে পারি।”

৩ জুন বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হবে উগান্ডা। শর্মা আরও বলেন, কেনিয়ার সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি এড়াতে উগান্ডার ক্রিকেটে কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। কারণ ২০১১ সালের পর থেকে কেনিয়া আর কোনো আইসিসি টুর্নামেন্ট খেলেনি। “এখন পর্যন্ত অভিজ্ঞতা ভালো। কিছু জিনিস পরিবর্তন করতে হবে। আমাদের অবকাঠামোগত উন্নতি করতে হবে এবং অনূর্ধ্ব-১৬ পর্যায়ে খেলা শুরু করতে হবে।” বলেন অভয় শর্মা।