ম্যাচ জিতে স্বস্তির নিঃশ্বাস রাহুলের, ধোনির ব্যাটিংয়ের সময় কি‌ ভাবছিলেন?

আইপিএল (IPL 2024) জুড়ে দেশের যেকোনো মাঠে, যেকোনো পিচে মহেন্দ্র সিং ধোনি (MS Dhoni) এখন ব্যাট হাতে রীতিমতো জ্বলে উঠছেন।...
techgup 20 April 2024 11:59 AM IST

আইপিএল (IPL 2024) জুড়ে দেশের যেকোনো মাঠে, যেকোনো পিচে মহেন্দ্র সিং ধোনি (MS Dhoni) এখন ব্যাট হাতে রীতিমতো জ্বলে উঠছেন। ম্যাচে ইনিংসের শেষ কয়েকটি বল খেলেও তিনি দ্রুতগতিতে রান সংগ্রহ করে বিপক্ষদের রীতিমতো চাপে ফেলে দিচ্ছেন। গতকাল লখনউ সুপার জায়ান্টসের (Lokhnow Super Giants) বিপক্ষে চেন্নাই সুপার কিংস (Chennai Super Kings) না জিততে পারলেও ম্যাচে ধোনি একই ভূমিকা পালন করেছিলেন। এবার ম্যাচ শেষে ধোনির এইরকম ব্যাটিং পারফরম্যান্স নিয়ে লখনউয়ের অধিনায়ক কেএল রাহুল (KL Rahul) নিজের মতামত প্রকাশ করলেন।

গতকাল আইপিএলে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে চেন্নাই সুপার কিংস প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে বিপর্যয়ের মুখে পড়ে। লখনউয়ের বোলিং আক্রমণের সামনে রাচিন রবীন্দ্র, রুতুরাজ গায়কওয়াড সম্পূর্ণ ব্যর্থ হন। একমাত্র রবীন্দ্র জাদেজা ৪০ বলে ৫৭ রান করে দলকে ভরসা দেন। তারপর নিচের দিকে ব্যাট করতে নেমে মহেন্দ্র সিং ধোনি এইরকম বোলিং পিচে ৩০০ ওপর স্ট্রাইক রেটে বিধ্বংসী হয়ে ওঠেন। তিনি মাত্র ৯ বলে ৩ টি চার এবং ২ টি ছয়ের মাধ্যমে মোট ২৮ রান করেন। যার ফলে চেন্নাইয়ের স্কোরবোর্ড ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রানে পৌঁছে যায়।

এরপর লখনউয়ের হয়ে অধিনায়ক কেএল রাহুল দুরন্ত ব্যাটিং শুরু করলেও জয় পেতে তাদের শেষ পর্যন্ত লড়াই করতে হয়। এরপর ম্যাচ শেষে রাহুল ধোনির গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটিং ইনিংসের বিষয়ে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, "প্রথম ইনিংসে আমি ১৬০ রানে খুশি হতাম। পিচটা যথেষ্ট ধীর মনে হচ্ছিল। ১৬০ থেকে ১৬৫ রান আদর্শ হত। কিন্তু যখন মহেন্দ্র সিং ধোনি মাঠের মধ্যে ব্যাট হাতে প্রবেশ করলেন তখন বোলাররা ভয় পেয়ে গিয়েছিল। বোলাররা চাপের মুখে পড়ে যায়।"

রাহুল আরও বলেন, "সেই সময় দর্শকদের চিৎকার খুবই বেশি ছিল‌। তারপর তিনি ওই ছয়গুলি মারেন, যা মহেন্দ্র সিং ধোনি অতীতে বহুবার করেছেন।" অন্যদিকে গতকাল চেন্নাই সুপার কিংস লখনউয়ের কাছে ৮ উইকেটে হারের পর বর্তমানে ৭ ম্যাচের মধ্যে ৪ টিতে জয়লাভ করে ৮ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছে। তারা পরবর্তী ম্যাচে ২৩ এপ্রিল আবার লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে মাঠে নামবে।

Show Full Article
Next Story