Mohun Bagan: কল্যানীতে লজ্জার হার মোহনবাগানের, জর্জ টেলিগ্রাফের কাছে পরাস্ত সবুজ মেরুন
আজ কলকাতা ফুটবল লিগে কল্যাণী স্টেডিয়ামে মোহনবাগান বনাম জর্জ টেলিগ্ৰাফ ম্যাচের প্রথম থেকেই দুই দল আগ্ৰাসী মনোভাব দেখায় এবং গোল করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিল।
মোহনবাগান ডুরান্ড কাপের শেষ ম্যাচে এয়ার ফোর্সের বিপক্ষে হাফ ডজন গোল করে রীতিমতো জ্বলে ওঠে। এছাড়াও চলমান কলকাতা ফুটবল লিগে সবুজ মেরুনরা এখন দুরন্ত ফর্মে আছে। তারা এই টুর্নামেন্টের শেষ ম্যাচে ইস্টার্ন রেলওয়কে ৫-০ গোলে পরাজিত করে লিগ তালিকায় ওপরের দিকে উঠে আসার চেষ্টা চালায়। আজ মোহনবাগান কলকাতা ফুটবল লিগে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে জর্জ টেলিগ্ৰাফের বিপক্ষে মাঠে নামে।
কল্যাণী স্টেডিয়ামে ম্যাচে প্রথম থেকেই দুই দল আগ্ৰাসী মনোভাব দেখায় এবং গোল করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিল। ম্যাচের ৫ মিনিটের মধ্যেই জর্জ টেলিগ্ৰাফের সমরেশ দাস বাঁ দিক থেকে উঠে এসে বক্সের মধ্যে থেকে দুরন্ত শট করেন। তবে গোলকিপার রাজা বর্মন সরাসরি উড়ে আসা বলটি ধরে নিতে সক্ষম হন। এরপর মোহনবাগানও গোল পাওয়ার জন্য আক্রমণ শুরু করে। তবে বিপক্ষের শক্তিশালী ডিফেন্স তারা কিছুতেই ভাঙতে পারছিল না।
টানটান উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে দুই দলের ফুটবলাররা বারবার শারিরীক সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছিলেন। অন্যদিকে ম্যাচের ৩০ মিনিটের মাথায় জর্জ টেলিগ্ৰাফের জুয়েল আহমদ নিজেদের বক্সের মধ্যে হ্যান্ডবল করে বসেন। এর ফলে সবুজ মেরুনরা পেনাল্টি পেয়ে যায়। এই পেনাল্টি থেকে সের্তো গোল করে দলকে প্রথমার্ধে এগিয়ে দেন। তবে দ্বিতীয়ার্ধেও জর্জ টেলিগ্ৰাফ তাদের দাপট বজায় রাখে।
ম্যাচের ৫৩ মিনিটে মোহনবাগানের বক্সের মধ্যে সমরেশ দাস দুরন্ত হেড করেন। বলটি পোস্টে লেগে ফিরে এলে সুযোগসন্ধানী অমিত এক্কা দুরন্ত গোল করে ম্যাচে সমতা ফেরান।
৫৭ মিনিটে আবারও জর্জ টেলিগ্ৰাফ হয়ে অভিষেক চক্রবর্তী বক্সের মধ্যে গোলমুখি শট নেন। বলটি সবুজ মেরুন ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে ফিরে এলে অমিত এক্কার জোরালো শট শেষ পর্যন্ত গোল লাইন পেরিয়ে যায়। ফলে জর্জ টেলিগ্ৰাফ ২-১ গোলে এগিয়ে গিয়ে চাপ সৃষ্টি করে। এরপর মোহনবাগান ম্যাচে ফিরে আসার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। সালাউদ্দিন শেষের দিকে একাধিকবার আশা জাগিয়েছিলেন। কিন্তু বিপক্ষের গোলকিপার কেশব নিজের জায়গায় অবিচল ছিলেন। এর ফলে শেষ পর্যন্ত জর্জ টেলিগ্ৰাফ আজ কলকাতা ফুটবল লিগে মোহনবাগানকে ২-১ গোলে পরাজিত করে।
আজ কলকাতা ফুটবল লিগে কল্যাণী স্টেডিয়ামে মোহনবাগান বনাম জর্জ টেলিগ্ৰাফ ম্যাচের প্রথম থেকেই দুই দল আগ্ৰাসী মনোভাব দেখায় এবং গোল করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিল।