Neeraj Chopra: নন-ক্রিকেটার হয়েও ইতিহাস গড়লেন নীরজ, সম্পত্তির দিক থেকে ছাড়িয়ে গেলেন হার্দিক পান্ডিয়াকে

বর্তমানে ভারতে ক্রিকেটের সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য একাধিক খেলার প্রতিও ক্রীড়া প্রেমীদের আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সম্প্রতি শেষ হওয়া প্যারিস অলিম্পিকে বেশ কয়েকজন ক্রীড়াবিদ অসাধারণ দুরন্ত পারফরমেন্সের…

Neeraj Chopra Net Value Beat Hardik Pandya With A Big 330 Crore Worth

বর্তমানে ভারতে ক্রিকেটের সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য একাধিক খেলার প্রতিও ক্রীড়া প্রেমীদের আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সম্প্রতি শেষ হওয়া প্যারিস অলিম্পিকে বেশ কয়েকজন ক্রীড়াবিদ অসাধারণ দুরন্ত পারফরমেন্সের মাধ্যমে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। নীরজ চোপড়া টোকিও অলিম্পিকের পর এই বছর স্বর্ণপদর জয় করতে না পারলেও তিনি রৌপ পদক জয় করে দেশকে সম্মাননা এনে দিয়েছেন। এর সঙ্গেই তার ব্র্যান্ড ভ্যালু এবার উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেল।

প্যারিস অলিম্পিকে রৌপ পদক জয় করার পর গতকাল নীরজ চোপড়া লুসানে ডায়মন্ড লিগে মাঠে নামেন। তবে তিনি এই টুর্নামেন্টেও দেশের হয়ে স্বর্ণপদক জয় করতে ব্যর্থ হন। লুসানে ডায়মন্ড লিগে দ্বিতীয় স্থানেই শেষ করেন নীরজ। উল্লেখ্য ২০২০ সালের টোকিও অলিম্পিকে এই তারকা ক্রীড়াবিদ ৮৭.৫৮ মিটার জ্যাভলিন থ্রো করে সোনা নিশ্চিত করেছিলেন। ফলে নীরজ চোপড়া অলিম্পিকের মঞ্চে ব্যক্তিগত বিভাগে স্বর্ণপদক জয় করার দ্বিতীয় ক্রীড়াবিদ।

অন্যদিকে এই বছর রৌপ্য পদক জয় করায় তার ব্রান্ড ভ্যালু আরও বৃদ্ধি পেল যা অনেক তারকা ক্রিকেটারের ব্রান্ড ভ্যালুকে ছাপিয়ে গেছে। আর্থিক উপদেষ্টা সংস্থা ক্রোলের তথ্য অনুযায়ী নীরজ চোপড়ার ব্রান্ড ভ্যালু ২৯.৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে বৃদ্ধি হয়ে ৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে যা ভারতীয় মুদ্রায় আনুমানিক ৩৩০ কোটি টাকা। অলিম্পিকের আগে নীরজের ব্র্যান্ড ভ্যালুয়েশন ভারতের অলরাউন্ডার ক্রিকেটার হার্দিক পান্ডিয়ার মতোই ছিল। কিন্তু বর্তমানে ভারতীয় তারকা ক্রিকেটারকেও নীরজ চোপড়া ছাপিয়ে যেতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।

অন্যদিকে ক্রোলের তথ্য অনুযায়ী ভারতীয় স্বর্ণপদক জয়ী এই তারকা ক্রীড়াবিদ বর্তমানে ক্রিকেটারদের বাইরে সবচেয়ে মূল্যবান ভারতীয় ক্রীড়াবিদ হিসেবে উঠে এসেছেন। অন্যদিকে এই বছর প্যারিস অলিম্পিকে শুটিং বিভাগে মানু ভাকের ব্যক্তিগত বিভাগে এবং দলগত বিভাগ থেকে ব্রোঞ্জ পদক জয় করে আলোচনায় উঠে এসেছেন। এরপরেই ২২ বছর বয়সী এই শুটার সম্প্রতি বিজ্ঞাপনের জন্য কোমল পানীয় ব্র্যান্ড থামস আপের সঙ্গে ১.৫ কোটি টাকার একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। রিপোর্ট অনুসারে প্যারিস অলিম্পিকের আগে মানু ভাকেরের ব্র্যান্ড ভ্যালু ছিল প্রতি বছরে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা তা বর্তমানে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।