ভারত-পাক ম্যাচের ব্লগ করাই হল কাল, নিরাপত্তারক্ষীর গুলিতে প্রাণ হারালেন পাকিস্তানি ইউটিউবার
এই বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে (T20 World Cup 2024) ভারত বনাম পাকিস্তানের (India vs Pakistan Match) ম্যাচ ঘিরে...এই বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে (T20 World Cup 2024) ভারত বনাম পাকিস্তানের (India vs Pakistan Match) ম্যাচ ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই বিশ্ব ক্রিকেটে উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মতো। নিউ ইয়র্কে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে এই ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। স্টেডিয়ামে প্রবেশ করতে না পারলেও এই ম্যাচের জন্য বিশ্বের প্রতিটি প্রান্ত থেকে অসংখ্য ক্রিকেটপ্রেমী এই শহরে এসে পৌঁছেছিলেন। গত রবিবার শান্তিপূর্ণভাবে ভারত বনাম পাকিস্তানের ম্যাচ সম্পন্ন হলেও এর মধ্যেই একটি অপ্রীতিকর ঘটনা সামনে এসেছে যা রীতিমতো সকলকে চমকে দিয়েছে।
গত ৯ জুন নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ভারত এবং পাকিস্তান মুখোমুখি হয়। এই ম্যাচের প্রথম ইনিংসে পাক বাহিনীদের বোলিং আক্রমণ ব্লু বিগ্ৰেডদের রীতিমতো চাপের মুখে ফেলে দেয়। ফলে একমাত্র ঋষভ পান্থের ৩১ বলে ৪২ রানে ভর করে ভারতীয় দল ১১৯ রান করতে সক্ষম হয়। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে জসপ্রীত বুমরাহ বিধ্বংসী বোলিংয়ের মাধ্যমে দলকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন। টানটান উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত ভারত ৬ রানে জয় তুলে নিয়ে দৃষ্টান্ত তৈরি করে।
এবার এই হাইভোল্টেজ ম্যাচের আগে করাচির একটি শপিং মলে ব্লগ করতে গিয়ে নিরাপত্তারক্ষীর গুলিতে এক পাকিস্তানি ইউটিউবারের মৃত্যুর খবর সামনে এল।পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমের সূত্র অনুযায়ী সাদ আহমেদ (Saad Ahmed) নামে ওই ইউটিউবার রবিবার ভারত-পাক ম্যাচের আগে করাচির একটি শপিং মলে গিয়ে ভ্লগিং ভিডিও তৈরি করছিলেন। তিনি মূলত ম্যাচের ফলাফলের বিষয়ে সাধারণ পথচারীদের থেকে মতামত সংগ্রহ করছিলেন। সেই সময় ওই শপিং মলের নিরাপত্তারক্ষীর সঙ্গেও সাদ কথা বলার চেষ্টা করেন।
তবে ভারত বনাম পাকিস্তানের ম্যাচ নিয়ে একাধিক প্রশ্ন করা হলেও নিরাপত্তারক্ষীটি কোন উত্তর দিতে চাননি। সাদ তাকে বার বার প্রশ্ন করায় একটা সময় হঠাৎ করে ওই নিরাপত্তারক্ষী রেগে গিয়ে ইউটিউবারের দিকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে দেন। ঘটনাস্থলেই সাদের মৃত্যু হয়। একটি ইনস্টাগ্রাম ভিডিয়োয় ওই নিরাপত্তারক্ষীর বক্তব্যও সামনে এসেছে। তিনি বলেন, "ছেলেটি বার বার প্রশ্ন করে বিরক্ত করছিল। আমার মাথা গরম হয়ে যায়। তাই গুলি চালিয়েছি। আমার যা মনে হয়েছিল তাই করেছি।" এই ঘটনার পরই পাকিস্তান পুলিশ নিরাপত্তারক্ষীটিকে সঙ্গে সঙ্গে গ্ৰেফতার করেছে।