‘কখনো তামাকের প্রচার করিনি’ ইঙ্গিত দিয়ে গাভাস্কার-সেহবাগদের কড়া সমালোচনা শচীনের

৩১ মে তথা আজ বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস (World No Tobacco Day)। এইদিনটি তামাকজাত দ্রব্য সেবনকারীদের সচেতনের জন্য। আর এই বিশেষ দিনে তামাক সেবনকারীদের সচেতন করতে…

৩১ মে তথা আজ বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস (World No Tobacco Day)। এইদিনটি তামাকজাত দ্রব্য সেবনকারীদের সচেতনের জন্য। আর এই বিশেষ দিনে তামাক সেবনকারীদের সচেতন করতে ক্রিকেটের ভগবান শচীন তেন্ডুলকর (Sachin Tendulkar) সোশ্যাল মিডিয়ায় এক পোস্ট করেছেন। শচীন বরাবরই তামাকজাত দ্রব্য এবং মাদকদ্রব্যগুলির অনুমোদনের বিরুদ্ধে কথা বলেন।

এই বিষয়ে শচীন তার পোস্টে তার বাবাকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি প্রকাশ্যে এনেছেন। শচীন তেন্ডুলকর পোস্ট করেছেন, “আমার আন্তর্জাতিক কর্মজীবনের শুরুতে, আমার বাবা আমাকে একটি সহজ কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ উপদেশ দিয়েছিলেন, কখনোই তামাকের প্রচার করবে না। আমি এখনো সেই জায়গাতেই আটকে রয়েছি এবং আপনি চাইলেও তাই করতে পারেন। আসুন আমরা একটি সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য তামাকের উপরে স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দিই।”

শচীনকে এই কথা বারংবার বলতে শোনা গেছে। তিনি কখনোই চান না দেশের ভবিষ্যত প্রজন্ম তামাকজাত দ্রব্যে আটকে থাকুক। তাই তিনি একজন বড় মাপের ক্রিকেটার হওয়া সত্ত্বেও কখনো কোনো পানমশালা বা তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন করেননি। শচীন আগেও বলেছেন, “এই বিষয়ে আমি বাবার কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলাম। তিনি আমাকে বলেছিলেন যে আমি একজন রোল মডেল এবং আমি যা করবো তা অনেক মানুষেই অনুসরণ করবে। এই কারণেই আমি কখনোই তামাকজাত দ্রব্য বা অ্যালকোহলের সমর্থন করিনা। ১৯৯০ সালে আমার কাছে ব্যাটের কোনো স্টিকার ছিল না, তারপরেও আমি এইসব দ্রব্যের কোম্পানিকে কোনোদিন সমর্থন করিনি। তবে দলের অন্য সবাই উইলস এবং ফোর স্কোয়ারকে সমর্থন করতো।”

শুধু শচীন নন, প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার গৌতম গম্ভীরও (Gautam Gambhir) সবসমউ এইসবের বিপক্ষে কথা বলেন। তিনি যখনই এই প্রসঙ্গ উঠিয়েছেন, ততবারই শচীনের উদাহরণ দিয়েছেন। এমনকি গম্ভীর নিজেও কোনোদিন এইসবের বিজ্ঞাপন করেননি। এইদিকে যেমন বড় টাকার প্রস্তাব পেয়েও যেমন তারা কোনোদিন তামাকজাত দ্রব্যের প্রচার করেননি, সেরকমই অন্যহাতে বেশ কিছু প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার যেমন, সুনীল গাভাস্কার (Sunil Gavaskar), বীরেন্দ্র সেহবাগ (Virender Sehwag) এবং কপিল দেব (Kapil Dev) সহ আরও অনেকেই টাকার বিনিময়ে এইসব কাজ করে থাকেন। যদিও এইসব কাজে একদমই সমর্থন করেন না শচীন তেন্ডুলকর।