EURO 2024 FINAL: অপেক্ষা বাড়লো ইংল্যান্ডের, ওয়ারজাবলের শেষ মুহূর্তের গোলে চ্যাম্পিয়ন হল স্পেন

আজ এই বছর ইউরোপিয়ান ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের মহারণের অন্তিম ম্যাচে দুই শক্তিশালী দল স্পেন এবং ইংল্যান্ড মুখোমুখি হয়। দুই দলই তরুণ ফুটবলারদের সঙ্গে নিয়ে এই বছর…

আজ এই বছর ইউরোপিয়ান ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের মহারণের অন্তিম ম্যাচে দুই শক্তিশালী দল স্পেন এবং ইংল্যান্ড মুখোমুখি হয়। দুই দলই তরুণ ফুটবলারদের সঙ্গে নিয়ে এই বছর টুর্নামেন্টে অসাধারণ কিছু ম্যাচ ফুটবল ভক্তদের উপহার দিয়েছে। ইউরো কাপের সেমিফাইনালে ইংল্যান্ড নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে এবং স্পেন কঠিন প্রতিপক্ষ ফ্রান্সকে পরাজিত করে ফাইনালে প্রবেশ করেছিল। ২০২০ সালের শেষ ইউরো কাপেও ইংল্যান্ড ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছিল কিন্তু তারা ইতালির বিপক্ষে হেরে চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি।

ফলে আজ ২০২৪ ইউরোপিয়ান ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে বার্লিনের অলিম্পিয়াস্টেডিয়ন স্টেডিয়ামে স্পেন এবং ইংল্যান্ড দুই দলই প্রথম থেকে আগ্ৰাসী মনোভাব দেখায়। স্পেনের হয়ে তরুণ তুর্কি ইয়ামাল এবং নিকো উইলিয়ামস আক্রমণে ঝড় তোলার চেষ্টা করেন। তবে সেমিফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে অবিশ্বাস্য গোল করা ইয়ামালকে প্রথম থেকেই ইংলিশ বাহিনীর ডিফেন্ডাররা বেঁধে রাখার জন্য রীতিমতো মরিয়া হয়ে ওঠে। এর সঙ্গেই ইংল্যান্ডের বেলিংহ্যাম এবং হ্যারি কেনরাও‌ পাল্টা চাপ সৃষ্টি করেন।

ম্যাচের ১৩ মিনিটে উইলিয়ামসের নেওয়া কর্নার থেকে স্পেন একটি ভালো সুযোগ তৈরি করেও শেষ পর্যন্ত বল জালে পাঠাতে পারেনি। এরপর প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময় বিপক্ষের বক্সের বাইরে বিপদজনক জায়গা থেকে ইংল্যান্ড ফ্রিক পেয়ে যায়। তবে তারাও এই সুযোগ নষ্ট করে। ফলে প্রথমার্ধে দুই দলই শেষ পর্যন্ত গোল শূন্য থেকে যায়। এরপর দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই স্পেন আক্রমণ শুরু করে। ম্যাচের ৪৭ মিনিটে ইংল্যান্ডের শক্তিশালী ডিফেন্ডারদের অসাধারণ কাটিয়ে ইয়ামাল বক্সের ভিতর প্রবেশ করে সতীর্থ উইলিয়ামসকে ডান দিক থেকে নিখুঁত পাস বাড়ান।

এর সঙ্গেই সুযোগ সন্ধানী উইলিয়ামস দ্রুতগতিতে বলটি বিপক্ষদের জালে জড়িয়ে স্পেনকে ১-০ গোলে এগিয়ে দেন। এরপর আবার ৬৬ মিনিটে স্পেনের হয়ে ইয়ামাল বক্সের বাইরে থেকে একটি দুরন্ত শট করেন তবে বলটি শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ডের গোলরক্ষক পিকফোর্ডের হাতে লেগে মাঠের বাইরে চলে যায়। তবে এর মধ্যেই ৭৩ মিনিটে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে সমতা ফেরায় ইংল্যান্ড। স্পেনের বক্সের মধ্যে থেকে বেলিংহাম বুদ্ধিমত্তা কাজে লিগে পিছনে পাস বাড়ান। সেই বল বক্সের বাইরে থেকে প্রায় রকেটের গতীতে দ্বিতীয়ার্ধে পরিবর্ত হিসাবে আসা পামার বিপক্ষের জালে জড়িয়ে দেন। এরপর ম্যাচ এগোনোর সঙ্গে সঙ্গে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পেতে থাকে। ৮২ মিনিটে বিপক্ষের বক্সের মধ্যে ইয়ামাল একটি সুবর্ণ সুযোগ পেয়ে যান।

তবে আবারও ইংল্যান্ডের গোলরক্ষক নিজের দক্ষতার পরিচয় দিয়ে প্রায় নিশ্চিত গোলটি আটকে দেন। অন্যদিকে ম্যাচে ইংল্যান্ড বেশিক্ষণ সমতা বজায় রাখতে পারেনি। ৮৬ মিনিটে ওয়ারজাবলের একটি দুর্দান্ত গোলে স্পেনের স্কোরবোর্ড ২-১ হয়ে যায়। তিনি কুকুরেলার বাম উইং থেকে বাড়ানো পাস লক্ষ্য করে দৌড়ে গিয়ে সূক্ষ্ম পায়ের স্পর্শে বল জালে পাঠিয়ে দলের আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনেন। এরপর ম্যাচের বাকি সময় মরিয়া চেষ্টা করলেও ইংল্যান্ড আর ম্যাচে ফিরে আসতে পারেনি। ফলে শেষ পর্যন্ত স্পেন চতুর্থবারের মতো ইউরোপিয়ান ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে চ্যাম্পিয়ন হয়ে জার্মানির মাটিতে ইতিহাসের পাতায় নাম লেখায়।