Subhashis Bose: আরজি কর প্রতিবাদে এবার রাস্তায় নামলেন বাগান অধিনায়ক, স্ত্রীর সাথেই আন্দোলন করলেন শুভাশীষ

কলকাতা জুড়ে চলা বিভিন্ন আন্দোলনের জন্য নিরাপত্তার অভাব থাকায় কলকাতার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ঐতিহ্যবাহী ডুরান্ড কাপের মোহনবাগান বনাম ইস্টবেঙ্গলের হাইভোল্টেজ ডার্বি বন্ধ করে দেওয়া হয়।

Subhashis Bose Mohunbagan Captain Participate In Rg Kar Hospital Victim Protest With Wife

যত সময় যাচ্ছে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের মৃতা মহিলা চিকিৎসকের হত্যাকারীদের শাস্তির দাবিতে দেশ জুড়ে প্রতিবাদ জোরালো হচ্ছে। এর মধ্যেই এই প্রতিবাদের আঁচ এসে পড়েছে ফুটবল ময়দানেও। গতকাল কলকাতার তিন প্রধান ফুটবল ক্লাব মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল এবং মহামেডানের সমর্থকরা আরজি কর কান্ডের প্রতিবাদে এক সঙ্গে মিলিতভাবে রাস্তা নেমে সরব হন। এবার এই ঘটনার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিলেন মোহনবাগানের অধিনায়ক শুভাশীষ বসু।

গত ৯ আগস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ইন্টার্ন তরুণী চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধার হলে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। পোস্টমর্টেম রিপোর্টে এই চিকিৎসককে নৃশংসভাবে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে বলে ইঙ্গিত মেলে। এরপরেই এই ঘটনার সুবিচার চেয়ে রাজ্যজুড়ে আন্দোলন শুরু হয়। ইতিমধ্যেই পুলিশের থেকে তদন্ত সিবিআইয়ের হাতে গেছে। তবে এখনও পর্যন্ত একজনকে আরজি কর কান্ডে আটক করা হলেও এই ঘটনার পিছনে বড়ো চক্রান্ত থাকতে পারে বলে নির্যাতিতা মহিলার সহ চিকিৎসক বন্ধু সহ তার বাবা মা দাবি করছেন।

অন্যদিকে কলকাতা জুড়ে চলা বিভিন্ন আন্দোলনের জন্য নিরাপত্তার অভাব থাকায় কলকাতার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ঐতিহ্যবাহী ডুরান্ড কাপের মোহনবাগান বনাম ইস্টবেঙ্গলের হাইভোল্টেজ ডার্বি বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে গতকাল ম্যাচ বাতিল হয়ে গেলেও ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান এবং মহামেডান ভক্তরা একত্রিত হয়ে আরজি করের ঘটনায় আসল দোষীদের শাস্তির দাবিতে রাস্তায় নামেন। যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ তারা প্রতিবাদ প্রদর্শন করার সময় পুলিশ প্রথম দিকে এই আন্দোলন বন্ধ করে দেওয়ার জন্য সক্রিয় হয়ে উঠেছিল।

উল্লেখ্যযোগ্যভাবে এই আন্দোলনে সর্ব ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের প্রধান কল্যাণ চৌবের সঙ্গে সঙ্গে মোহনবাগানের অধিনায়ক শুভাশীষ বসুও উপস্থিত ছিলেন। এবার এই মিছিলের ভক্তদের সঙ্গে নিজের ছবি অফিসিয়াল এক্স অ্যাকাউন্টে পোস্ট করলেন তিনি। পোস্টের সঙ্গে শুভাশীষ বসু লেখেন, “আরজি করের ঘটনাটি খুবই ভয়ঙ্কর এবং মানসিকভাবে বিধ্বস্ত করে দেওয়ার মতো। কিন্তু সত্যকে আড়াল করা এবং জনগণকে নীরব করার জন্য কর্তৃপক্ষের প্রচেষ্টার যে বিবরণ সামনে এসেছে তা হতবাক করে দিচ্ছে।”