Sunil Chhetri: এক সোনালী পৃষ্ঠার অবসান, আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর ঘোষণা সুনীল ছেত্রীর, এই ম্যাচই হবে শেষ ম্যাচ

ভারতীয় ফুটবলে একাধিক কিংবদন্তি ফুটবলার দেশকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে খ্যাতি এনে দেওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে লড়াই করেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী (Sunil Chhetri) নতুন করে…

ভারতীয় ফুটবলে একাধিক কিংবদন্তি ফুটবলার দেশকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে খ্যাতি এনে দেওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে লড়াই করেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী (Sunil Chhetri) নতুন করে ব্লু বিগ্রেডদের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন। তবে বয়স ফুটবলের মতো খেলায় সবচেয়ে বড়ো বাধা হয়ে দাঁড়ায়। ফলে দীর্ঘদিন গুঞ্জনের পর এবার ৪০ বছর বয়সের কাছাকাছি দাঁড়িয়ে অবসরের সিদ্ধান্ত নিলেন ভারতীয় ফুটবল দলের অন্যতম অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী।

ভারতীয় এই তারকা স্ট্রাইকারের ২০০৫ সালের ১২ জুন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তার আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়েছিল এবং এই ম্যাচে ভারতের হয়ে তার প্রথম গোলটি আসে। এরপর তিনি ভারতীয় দলকে নিজের স্বর্ণময় ফুটবল জীবনের মধ্য দিয়ে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। আন্তর্জাতিক ফুটবলে ভারতীয় ফুটবল এখনও অনেকটা পিছিয়ে থাকলেও সুনীল ছেত্রী আন্তর্জাতিক ফুটবলের সর্বোচ্চ গোলদাতাদের তালিকায় লিওনেল মেসি পর চতুর্থ স্থানে অবস্থান করছেন।

তিনি এখনও পর্যন্ত ভারতের হয়ে মাত্র ৯৪ ম্যাচে মোট ১৫০ টি গোল করেছেন। তবে এবার আসন্ন ৬ জুন কলকাতার যুবভারতী স্টেডিয়ামে কুয়েতের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচেই সুনীল ভারতের হয়ে শেষ মাঠে নামতে চলেছেন। আজ সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে একটি ভিডিও প্রকাশ করে নিজের এই অবসরের সিদ্ধান্ত প্রকাশ করেন। এই ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, “দেশের হয়ে খেলা আমার প্রথম দিনটি আমি কখনোই ভুলতে পারবো না। এই ঘটনা আমার প্রায়শই মনে পড়ে যে আমি আমার দেশের মানুষের হয়ে প্রথমবার খেলেছি।”

তিনি আরও বলেন, “আপনারা জানেন গত ১৯ বছর ধরে দলের কর্তব্য, ম্যাচের চাপের সঙ্গে এক অপরিসীম আনন্দ মিশ্রিত স্মৃতি আমি এখন স্মরণ করতে পারি। আমি কখনোই ব্যক্তিগতভাবে কিছু ভাবিনি, ভালো বা মন্দ আমি যাই করেছি সবই দেশের হয়ে খেলার জন্য করেছি। এই গত দেড়, দুই মাস, আমি একইভাবে লড়াই চালিয়ে অদ্ভুত সময়ের মধ্যে দিয়ে গেছি। কারণ আমি সেই সিদ্ধান্তের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলাম, আমার পরবর্তী ম্যাচ আন্তর্জাতিক ফুটবলের শেষ ম্যাচ হতে চলেছে।

সুনীল ছেত্রী আরও যোগ করেন, “অবশেষে আমি এই সিদ্ধান্তে এসেছি, তাই এরপরে আমি কি দুঃখ পাব? অবশ্যই। আমি কি এই কারণে প্রতিদিন মাঝে মাঝে দুঃখ বোধ করি? হ্যাঁ। আমি এই যাত্রাকে ট্রেনের মতো মনে করি। আমি ট্রেনটিকে ছেড়ে দেওয়ার পর বারবার মনে করবো। আমাকে এগোতে হবে। মাত্র আর ২০ দিনের প্রশিক্ষণ আছে এবং এরপর সব শেষ হয়ে যাবে? হ্যাঁ।”