‘একটুআধটু‌ ভালো লাগে, সবসময় নয়’, আইপিএলে রানের বৃষ্টি আটকাতে‌ অনন্য উপায় বললেন গাভাস্কার

বর্তমান দিনে টি-২০ ক্রিকেট মানেই মানুষের কাছে একপ্রকার বিনোদন। বিশেষ করে আইপিএল (IPL 2024) আর বলতে কিছু বাকি রাখে না। ভারতীয়দের কাছে দিওয়ালির মতো এটাও…

বর্তমান দিনে টি-২০ ক্রিকেট মানেই মানুষের কাছে একপ্রকার বিনোদন। বিশেষ করে আইপিএল (IPL 2024) আর বলতে কিছু বাকি রাখে না। ভারতীয়দের কাছে দিওয়ালির মতো এটাও দুইমাসব্যাপী এক উৎসব। যাই হোক, এবছর আইপিএল এখনো পর্যন্ত ভক্তদের বিরাট আনন্দ দিচ্ছে। বিশেষ করে এত এত রান মানুষের খেলা দেখার প্রবণতাকে বাড়িয়ে তুলেছে। এমনকি শনিবার দিল্লি ক্যাপিটালসের (Delhi Capitals) বিরুদ্ধে আইপিএলের ইতিহাসের চতুর্থ সর্বাধিক স্কোর তথা ২৬৬ রান করেছে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ (Sunrisers Hyderabad)।

এই ম্যাচে ২৬৭ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে দিল্লি ক্যাপিটালসও ৮.৪ ওভারে ১৩৫ রান করে। কিন্তু তারপর ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণে ৬৭ রানে এই ম্যাচ হারতে হয় দিল্লিকে। এদিকে গতকাল ওই ম্যাচ চলাকালীন এই ধরণের বাউন্ডারি নিয়ে দুইচার কথা বলেছেন প্রাক্তন ভারতীয় কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কার (Sunil Gavaskar)। দলগুলি এত বড় বড় রান করায়, তিনি বলেছেন বাউন্ডারি গুলি একটু হলেও বাড়াতে।

গতকাল ম্যাচ চলাকালীন ধারাভাষ্য দিতে গিয়ে সুনীল গাভাস্কার বলেছেন, “এই ধরনের ব্যাটিং মানুষকে কিছুটা পরিমাণ বিনোদন দিয়ে থাকে, কিন্তু এটি অনেক বেশিই হয়ে যাচ্ছে। আমি এই শব্দটি ব্যবহার করতে চাই না, তবে বাউন্ডারি গুলি ৩ থেকে ৪ মিটার পর্যন্ত বাড়ানো উচিত, এটি ম্যাচে একটি পার্থক্য তৈরি করবে।” যদিও গাভাস্কারের এই মতামতের সাথে অনেকেই সহমত পোষণ করেছেন।

এদিকে এই ধরণের পিচ এবং বাউন্ডারি করায় যত দিন এগোচ্ছে, আইপিএলে বোলারদের কৃতিত্ব ততই কমে যাচ্ছে। ব্যাটারদের জন্য এই ছোট বাউন্ডারি বা এই ধরনের ব্যাটিং বান্ধব পিচ অনুকূল হলেও, বোলারদের জন্য তা গুরুত্ব হারাচ্ছে। তাই গাভাস্কার থেকে শুরু করে আরও অনেক কিংবদন্তী কিংবা প্রাক্তন ক্রিকেটাররা চান এই বিষয়গুলির দিকে নজর দেওয়া হোক। কারণ একটাই, অতীতে যেখানে ২০০ রান করাটাই একটা দলের মূল লক্ষ্য থাকতো, এখন সেখানে ২৫০ করার পরেও নিশ্চিন্ত নন সেই দলের বোলাররা।