‘১১৮ স্ট্রাইটরেটে কি হাততালি দেবো! আপনি কান দিচ্ছেন কেন’, কোহলির মন্তব্যে এবার তীক্ষ্ণ প্রতিক্রিয়া গাভাস্কারের

এবছর আইপিএলে (IPL 2024) বিরাট কোহলির (Virat Kohli) ব্যাট ভালোই চলছে। এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি রান করেছেন তিনি। ক্রমাগত অরেঞ্জ ক্যাপ দখল করে আছেন কোহলি।…

এবছর আইপিএলে (IPL 2024) বিরাট কোহলির (Virat Kohli) ব্যাট ভালোই চলছে। এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি রান করেছেন তিনি। ক্রমাগত অরেঞ্জ ক্যাপ দখল করে আছেন কোহলি। কিন্তু জনগণ এই রান দেখছে না, তাদের ফোকাস কোহলির স্ট্রাইক রেটের দিকে। বিশেষ করে স্পিনারদের বিপক্ষে তাদের ধীরগতির ব্যাটিং নিয়ে প্রতিনিয়ত মন্তব্য আসছে। এসব মন্তব্যের কথা মাথায় রেখে গত সপ্তাহে আহমেদাবাদে গুজরাটের স্পিনারদের বিরুদ্ধে দ্রুত রান যোগ করেন কোহলি।

সেই ম্যাচে ৪৪ বলে ৭০ রান করেন কোহলি। এতে স্পিনারদের বিশেষ বিবেচনায় রাখা হয়েছিল। আর তারপর ম্যাচ শেষে কোহলিও তার সমালোচকদের অনেক কথা বলেছেন। বিশেষ করে ধারাভাষ্যকারদের ওপর বিরক্ত ছিলেন কোহলি। আর এবার সেই নিয়ে রেগে গেলেন সুনীল গাভাস্কার (Sunil Gavaskar)। শনিবার, ৪ মে আরসিবি বনাম জিটি ম্যাচের আগে কোহলিকে অনেক কিছু বললেন তিনি।

তিনি বলেন- “ধারাভাষ্যকাররা প্রশ্ন তুলেছেন তখনই যখন স্ট্রাইক রেট ছিল ১১৮। আমি খুব নিশ্চিত নই, আমি খুব বেশি ম্যাচ দেখি না। তাই অন্য ধারাভাষ্যকাররা কী বলেছেন জানি না। কিন্তু আপনার যদি ১১৮ স্ট্রাইক রেট থাকে এবং এরপর যদি ১৪ বা ১৫ তম ওভারে একই স্ট্রাইক রেটে আউট হয়ে যান‌ এবং তার জন্য আপনার প্রশংসার প্রয়োজন হয়, তাহলে ব্যাপারটা ভিন্ন। এটা একেবারেই আলাদা।”

গাভাস্কার আরো বলেন- “এই নিয়ে সব লোক কথা বলে, আর আমরা তো বাইরের আওয়াজে পাত্তা দিই না। তাহলে বাইরের কণ্ঠস্বর বা যাই হোক না কেন, আপনি কেন সাড়া দিচ্ছেন? আমরা সবাই কিছুটা ক্রিকেট খেলেছি, খুব বেশি নয়, তবে অল্প অল্প খেলেছি। আমাদের কোনো এজেন্ডা নেই। আমরা যা দেখি তাই বলি। আমাদের কোনো প্রিয় বা অপছন্দের খেলোয়াড় নেই। আর যদি তা-ও হয়, তারপরও আমরা বলি কী ঘটছে।”

এই নিয়ে সম্রচারক স্টার স্পোর্টসেরও কড়া নিন্দা করেন গাভাস্কার। তিনি বলেন- “খেলা পরবর্তী সেই সাক্ষাৎকারটি এর আগেও এই চ্যানেলে দেখানো হয়েছে। আর এই প্রোগ্রামেও ৬টা থেকে এখন পর্যন্ত তারা সম্ভবত হাফ ডজন বার দেখিয়েছে। আমি আশা করি তারা বুঝতে পেরেছেন যে এটি দেখানো হচ্ছে যে সমালোচকরা ধারাভাষ্যকার। আমি মনে করি মানুষ এটা যথেষ্ট বার দেখেছে, সবাই বার্তা পেয়ে গেছে।”