'BCCI এর উচিত….', বিরাট-রোহিতের অবসরের পর তাদের সম্মান জানানোর দুর্দান্ত উপায় জানালেন রায়না
ভারতীয় ক্রিকেটকে বর্তমান সময়ে এই পর্যায়ে নিয়ে আসার পিছনে একাধিক তারকা ক্রিকেটারের অবদান রয়েছে। শচীন তেন্ডুলকার,...ভারতীয় ক্রিকেটকে বর্তমান সময়ে এই পর্যায়ে নিয়ে আসার পিছনে একাধিক তারকা ক্রিকেটারের অবদান রয়েছে। শচীন তেন্ডুলকার, সৌরভ গাঙ্গুলি, মহেন্দ্র সিং ধোনির পর রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি ব্লু ব্রিগেডদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তবে এই তারকা ক্রিকেটাররাও এখন ক্রিকেট জীবনের শেষ পর্যায়ে এসে পৌঁছেছেন। এবার রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলিকে সন্মান জানানোর জন্য ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার সুরেশ রায়না গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করলেন।
গত বছর একদিনের বিশ্বকাপে ভারতীয় দল দুরন্ত পারফরম্যান্স করে ফাইনালে প্রবেশ করেছিল। টুর্নামেন্টে ধারাবাহিকভাবে অসাধারণ ব্যাটিং করে বিরাট কোহলি সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী হয়েছিলেন। সম্প্রতি শেষ হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এই তারকা ব্যাটসম্যান প্রথম দিকে ছন্দে না থাকলেও ফাইনালে দলকে ৭৬ রান করে ভরসা দেন। অন্যদিকে এই বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে রোহিত শর্মা প্রথম থেকেই বিধ্বংসী ফর্মে ছিলেন। তিনি টুর্নামেন্টে ৮ ম্যাচে মোট ২৫৭ রান সংগ্রহ করে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী হয়েছেন।
এছাড়াও দীর্ঘদিন এই দুই তারকা ব্যাটসম্যান ভারতীয় দলকে বিভিন্নভাবে সমৃদ্ধ করছেন। এখনও পর্যন্ত রোহিত শর্মার ব্যাট থেকে ২৬২ টি একদিনের ম্যাচে ১০৭০৯ রান আসার সঙ্গে সঙ্গে বিরাট কোহলির ব্যাট থেকে ২৯২ টি একদিনের ম্যাচে ১৩৮৪৮ রান এসেছে। ফলে ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার সুরেশ রায়না এই ক্রিকেটারদের বিষয়ে বলতে গিয়ে বলেন, "কোহলি এবং রোহিতকে সম্মান জানাতে জার্সি নম্বর ১৮ এবং ৪৫-কে বিসিসিআইয়ের অবসর দেওয়া উচিত। তারা দলের জন্য যথেষ্ট করেছেন, দুজনেই কিংবদন্তি।"
উল্লেখ্য বিরাট কোহলির জার্সি নম্বর ১৮ এবং রোহিত শর্মার ৪৫ বিশ্ব ক্রিকেটে তাদের কৃতিত্বের সঙ্গে সঙ্গে খুবই জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। অন্যদিকে এর আগে শচীন তেন্ডুলকারের ১০ নম্বর এবং মহেন্দ্র সিং ধোনির ৭ নম্বর জার্সি বিসিসিআই সন্মান জানিয়ে অবসরে পাঠিয়েছে। যার ফলে আর কোনো ক্রিকেটার এই নম্বরের জার্সি পড়ে মাঠে নামেন না। তবে এই বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট থেকে বিরাট কোহলি এবং রোহিত শর্মা অবসর নিয়ে নিলেও একদিনের ক্রিকেট এবং টেস্ট ক্রিকেটে খেলা সমানভাবে চালিয়ে যাবেন। ফলে সম্ভবত বিসিসিআই এখনই এই বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করবে না।